সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায়ের পারষ্পরিক সহাবস্থানের নামই ভারত। টুইট করে আজ, বৃহস্পতিবার একথা লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবসেও শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। এদিনই উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৬ বছর পূর্তি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৬ ডিসেম্বর মানবিকতার স্বার্থে বাংলায় সংহতি দিবস পালন করা হয়। সংহতি ভারতকে সম্পূর্ণ করে।
[বাবরি ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে কড়া নিরাপত্তা অযোধ্যায়]
মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, “আজ ৬ ডিসেম্বর। আমরা এদিন বাংলায় সংহতি দিবস হিসেবে পালন করি। মানবশরীর যেমন সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছাড়া অসম্পূর্ণ, তেমনই সব সম্প্রদায়, জাতি, বিশ্বাস বা লিঙ্গ ছাড়া এদেশও সম্পূর্ণ নয়। আসুন আমরা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে তুলে ধরি।” ১৯৮০ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গোটা দেশে প্রথম অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সওয়াল তোলে। ১৯৯০-এর সেপ্টেম্বরে লালকৃষ্ণ আডবানীর রথযাত্রায় প্রভাব পড়েছিল গোটা দেশ জুড়ে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকরা বিতর্কিত কাঠামোয় উঠে গম্বুজ ভাঙতে শুরু করে। ঘটনার পরই উত্তরপ্রদেশে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা শুরু হয়। গন্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে সুরাট, আহমেদাবাদ, কানপুর, দিল্লি, ভোপালেও। মৃত্যু হয় প্রায় ২০০০ জনেরও বেশি মানুষের। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে শুধু মুম্বইয়ে দুই সম্প্রদায়ের লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ৯০০ জনের। এখনও অযোধ্যার বাবরি মসজিদের জমি বিবাদ কাটেনি। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। পরের শুনানি ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে।
আজ ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবসেও শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি টুইটে লেখেন, “প্রয়াণ দিবসে আম্বেদকরকে শ্রদ্ধা। সংবিধান তৈরিতে তাঁর ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে৷” দলিত, মহিলা ও শ্রমিকদের জন্য লড়াই করেছেন আম্বেদকর। ১৯৫৬ সালে মৃত্যু হয় এই কংগ্রেস নেতার। তাঁর মৃত্যুদিন মহাপরিনির্বাণ দিবস হিসাবে পালিত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামী দীনেশ গুপ্তকেও সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন অপারেশন ফ্রিডমে কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে বোমা নিক্ষেপ করেন বিনয়, বাদল ও দীনেশ। এদিন দীনেশ গুপ্তর জন্মদিনে টুইটারে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
The post সব ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি ও বিশ্বাস ছাড়া ভারত অসম্পূর্ণ: মমতা appeared first on Sangbad Pratidin.