স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : ফের প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের দ্বিচারিতা। একদিকে, আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) তৈরির ডাক দিয়ে দেশি সংস্থাগুলিকে বরাত দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে তাঁরই স্বপ্নের বন্দে ভারত ট্রেন তৈরির চাকার বরাত দেওয়া হল চিনের (China) সংস্থাকে। তাও আবার সেই সময়, যখন প্যাংগং লেকে লাল ফৌজের আরও একটি সেতু বানানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
৪ এপ্রিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) তৈরির জন্য ৩৯ হাজার চাকার টেন্ডার দেয় রেল বোর্ড। ২ মে চিনের টিজেড (তাইঝং) হংকং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে তার বরাত দেওয়া হয় ১৭০ কোটি টাকায়। বোর্ডের বক্তব্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অন্যান্য দেশ চাকা সরবরাহ করতে পারছে না। সেই কারণেই বরাত পেয়ে গিয়েছে চিনের সংস্থা।
[আরও পড়ুন: দেশে ফের একদিনে করোনা আক্রান্ত দু’হাজারের বেশি, কাঁপুনি ধরাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পরিসংখ্যান]
তবে বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। একটু গভীরে গেলে দেখা যাচ্ছে, এই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে চিন সরকারের। ১৯৫০ সালে এই সংস্থা তৈরি করেছিল চিন সরকার। এখানেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। একদিকে যখন লাগাতার দেশের ভৌগোলিক অবস্থান ধ্বংস করতে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েই চলেছে চিন, তখন কীভাবে এই চুক্তি করল রেল? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার (Randeep Singh Surjewala) কটাক্ষ, “একদিকে চিনের অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে সরকার। অন্যদিকে মেড ইন চায়নার বিভিন্ন পণ্য দেশে ঢোকা নিশ্চিত করছে। আজব ছলনা ও দ্বিচারিতা।” বিরোধীদের বক্তব্য, এই ধরনের নানা কারণেই চিনের আগ্রাসন নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্র সরকার।
[আরও পড়ুন: নয়া দুর্নীতির অভিযোগ, লালু ও তাঁর মেয়ের বাড়ি-সহ ১৭ জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের]
প্রসঙ্গত, ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে বিতর্কিত প্যাংগং হ্রদ (Pangong Lake) এলাকায় আরও একটি সেতু বানাচ্ছে চিন। যাতে প্রয়োজনে ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় দ্রুত সেনা পাঠাতে পারে বেজিং (Beijing)। সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে এমনটাই ধরা পড়েছে। যদিও নতুন চিনা সেতু নিয়ে ভারতীয় সেনার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।