সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা অনুদান নিয়ে এবার বিজেপিকে পালটা তোপ কংগ্রেসের (Congress)। দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের অভিযোগ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের ছেলে ধ্রুবর সংস্থা চিনা দূতাবাস থেকে অর্থসাহায্য পায়। একবার নয়, গত কয়েক বছরে একাধিকবার নাকি ধ্রুবর সংস্থা চিন থেকে অনুদান পেয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, চিন ইস্যুতে বিজেপির নীরবতার কারণও এই অনুদানই।
কংগ্রেস নেতা পবন খেরার (Pawan Khera) অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের (S Jaishankar) ছেলে যে সংস্থাটি চালান সেই অবজার্ভর রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ORF) অনুদান পায় চিন থেকে। বিদেশমন্ত্রীর ছেলের সংস্থা তিনবার চিনা দূতাবাস থেকে অনুদান পেয়েছে। এই অনুদান পেতে আমেরিকায় যান ধ্রুব। সেখানে চিনা দূতাবাস থেকে টাকা নিয়ে আসেন। তবে এরপরই পবনের কৌশলী বার্তা, এটা নিয়ে আমরা কোনও অভিযোগ করি না। কারণ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি এভাবেই টাকা তোলে। সব সংস্থা তোলে। পবনের ইঙ্গিত, বিদেশমন্ত্রীর ছেলের সংস্থা চিনা অনুদান পায় বলেই বোধ হয় বিজেপি চিন ইস্যুতে নীরব।
[আরও পড়ুন: ‘ডোকলামের সময়ে চিনাদের সঙ্গে সুপ খাচ্ছিলেন’, রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ অনুরাগ ঠাকুরের]
বস্তুত তাওয়াং সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে বেশ চাপে বিজেপি (BJP)। অরুণাচলের ওই এলাকায় এই মুহূর্তে কী পরিস্থিতি সেটা নিয়ে সরকার এখনও স্পষ্ট কোনও বিবৃতি দিতে পারেনি। বিরোধীপক্ষ একযোগে এই ইস্যুতে সংসদে আলোচনা চাইলেও সরকার তাতে রাজি হয়নি। সোমবারও রাজ্যসভায় এ নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল বিরোধী শিবির। কিন্তু সরকার পক্ষ সেই অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়ে সম্মিলিত বিরোধী শিবির ওয়াক-আউটও করে। মোট কথা জনসমক্ষে কার্যত চিন ইস্যুতে নীরব সরকার। পালটা কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দেগে বিজেপির তরফে বলে দেওয়া হচ্ছে, কংগ্রেস আমলেই ভারতের হাজার হাজার কিলোমিটার জমি দখল করেছে চিন। গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের (Rajeev Gandhi Foudation) চিনা অনুদান পাওয়া নিয়েও সরব হয়েছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতৃত্ব কোথায়? সংগঠন নিয়ে চিন্তায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব]
সেই অভিযোগেরই পালটা পবন খেরা বলে দিলেন, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন কোথা থেকে টাকা তুলত সেটা সবার জানা। প্রকাশ্যেই সেই তথ্য আছে। এতে অভিযোগ করার কিছু নেই। বিদেশমন্ত্রীর ছেলের সংস্থাও বিদেশি অনুদান পায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি এভাবেই টাকা তোলে। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী চিনকে ভয় করেন। জওয়ানদের মৃত্যুর পরও তাই তিনি নীরব।