সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পরে যদি সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত না গড়ায় তাহলে বিষয়টিকে ধর্ষণের (Rape) আওতায় ফেলা যাবে না। একটি মামলায় এমনই রায় দিল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)।
শুক্রবার একটি মামলার শুনানি ছিল। এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রেমিকা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, দিনের পর দিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিলেন তিনি। কিন্তু সম্পর্ক বছর চারেক গড়ানোর পরে বিয়ে করতে অসম্মত হন ওই আইনজীবীকে। পেশায় ওই মহিলাও আইনজীবী। এই পরিস্থিতিতেই আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এদিকে মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: খুন করতেই এসেছিল, প্রথম টার্গেট ছিল এক ধর্মগুরু, জানাল শিনজো আবের হত্যাকারী]
বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাস জামিন দিয়েছেন ওই আইনজীবী নবনীত নাথকে। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, যদি দু’জন নারী-পুরুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌনতা হয় এবং পরে সেই সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি না পায় তাহলে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যাবে না। তবে বিচারপতি জানান, ”এক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হবে না, যদি না জালিয়াতি কিংবা মিথ্যে পরিচয় ভাঁড়িয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়ে থাকে।”
সেই সঙ্গে আদালত আরও জানায়, একজন মহিলা ও পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ককে কখনওই ধর্ষণ বলা যায় না, যদি না তা একজনের অসম্মতিতে হয়ে থাকে অথবা বলপূর্বক কিংবা কোনও প্রতারণা করা হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে বিচারপতি পরিষ্কার করে দেন, ”বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসকে তখনই ধর্ষণ বলা যাবে যখন এর সঙ্গে প্রতারণা জড়িয়ে থাকবে।”
জানা গিয়েছে, সহকর্মী আইনজীবীর সঙ্গে প্রায় চার বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল ওই ব্যক্তির। কিন্তু এরপর তিনি অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। এই পরিস্থিতিতে মহিলা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপরই শুক্রবার এই রায় দিল হাই কোর্ট।