সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত বিতর্কিত স্বঘোষিত ‘গডম্যান’ আশারাম বাপু (Asaram Bapu)। বুধবারই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত প্রবল শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অপরাধে রাজস্থানের যোধপুরে জেলবন্দি আশারাম কয়েকদিন আগেই সংক্রমিত হন। তিনি একা নন, আরও ১২ জন বন্দির শরীরেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও শ্বাসকষ্টে ভুগেছিলেন আশারাম। সেই সময় তাঁকে যোধপুরের মথুরাদাস মাথুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে সেরে ওঠেন তিনি। কিন্তু এবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ক্রমেই বাড়ছিল শ্বাসকষ্ট। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতেই ফের দ্রুত ওই হাসপাতালেই নিয়ে আসা হয় তাঁকে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন ধর্ষণের অভিযোগে জেলবন্দি ধর্মগুরু। তবে এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে অব্যর্থ স্টেরয়েড! বাড়িতে থাকা রোগীদের জোড়া ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যের]
প্রসঙ্গত, আশারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এক কিশোরীকে ধর্ষণের। ওই কিশোরী জানিয়েছিল, তার মা’কে বাইরে বসিয়ে রেখে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন আশারাম। শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে নিজের ইন্দোরের আশ্রম থেকে ধরা পড়েন বিতর্কিত আশারাম। দোষী সাব্যস্ত হলে যোধপুরের জেলে সাজা খাটতে শুরু করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে পক্সো আইন ছাড়াও একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছিল।
২০১৪ সালে জামিনের আবেদন করেও লাভ হয়নি। তৎক্ষণাৎ তা নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। সেই সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা। তাঁর ছেলে নারায়ণ রাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহিলা ভক্তদের ধর্ষণের অভিযোগে। বাবা-ছেলে দু’জনেই ধর্ষণের অভিযোগে জেলবন্দি।