সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: বকখালি, গঙ্গাসাগর, হেনরিজ আইল্যান্ড, মৌসুনি দ্বীপের মতো পর্যটন এলাকার সমস্ত লজ ও আবাসিক হোটেল বন্ধ। করোনা সতর্কতার জেরেই কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই লজ ও হোটেল হোটেলগুলি। তীর্থক্ষেত্র গঙ্গাসাগর যাওয়ার তিনটি প্রবেশদ্বার লট-৮, কচুবেড়িয়া এবং নারায়ণপুর ঘাটে রাখা হচ্ছে মেডিক্যাল টিম। ওই টিমের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গঙ্গাসাগরে যাতায়াত করা তীর্থযাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। ওই ঘাটগুলিতে মূলত ভিন রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের উপরই বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বুধবার সুন্দরবন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার উপস্থিতিতে জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, মহকুমার সমস্ত থানা করোনা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অযথা ভীতি দূর করতে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনও মাধ্যমে রটানো যাবতীয় গুজবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কী কী করনীয় সে সম্পর্কেও মাইকে প্রচার চালাবে পুলিশ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোনওরকম মেলা, খেলা, সভা, মিছিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন : N-95 মাস্ক না মেলায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পুরুলিয়ায়, দিশা দেখাতে ব্যর্থ প্রশাসন]
অন্য রাজ্য বা বিদেশ থেকে বাড়িতে ফেরা মানুষকে কোনওরকম গড়িমসি না করেই নিকটবর্তী হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হবে। এদিকে বকখালি হোটেল মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এতদিন ধরে লজ হোটেলগুলি বন্ধ থাকার ফলে পর্যটনশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে করোনার মতো মারণব্যাধি রুখতে প্রশাসনিক এই নির্দেশ যে হেলাফেলারও নয় তাও একবাক্যে স্বীকার করেছে মালিক সংগঠন।
[আরও পড়ুন : কাজ করতে আসা ব্রিটিশ নাগরিককে নিয়ে আতঙ্ক, পুরুলিয়ায় কোয়ারেন্টাইনে ইঞ্জিনিয়ার]
The post করোনার গ্রাসে পর্যটন, বকখালিতে বন্ধ সমস্ত হোটেল, লজ appeared first on Sangbad Pratidin.