সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারী এখনও বিদায় নেয়নি। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সতর্ক করছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু WHO’র সেই সতর্কতা উপেক্ষা করে বহু দেশই করোনা সতর্কতা একপ্রকার ভুলতে বসেছিল। নতুন করে যার ফল ভুগতে হচ্ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপে। বিশ্বের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইজরায়েল এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের গ্রাফ দেখে এবার নড়েচড়ে বসল ভারত সরকার। কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হল। বুঝিয়ে দেওয়া হল, করোনা সতর্কতায় কোনওরকম উদাসীনতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) সব রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন, সময়মতো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পেতে প্রচুর পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা অব্যাহত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ নাগরিককে টিকাকরণে নতুন করে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। রাজ্যগুলিকে দেওয়া চিঠিতে স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, “কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া প্রোটোকল মেনে রাজ্যগুলিকে যথেষ্ট পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যাতে করোনার (COVID-19) নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের আগমন ঘটলে সেটা সময়মতো ধরা পড়ে।”
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ফিরতে চাইলেই বাড়ি ফাঁকা করে দেওয়া হবে, ঘোষণা সিআরপিএফের]
রাজ্যগুলিকে দেওয়া নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বলছেন, রাজ্যগুলি সাধারণ নাগরিকদের আরও সচেতন করুক। সবাইকে কোভিড বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করুক। নতুন করে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করার মতো কোভিড বিধিগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হোক। কেন্দ্র পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, আগের মতোই রাজ্যগুলি টেস্ট, ট্র্যাক এবং ট্রিট অর্থাৎ পরীক্ষা, নজরদারি এবং চিকিৎসা এই নীতি মেনে চলতে হবে।
[আরও পড়ুন: চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে প্রতিরক্ষা বাজেটে কাটছাঁট! উদ্বেগ সংসদীয় কমিটির]
বস্তুত, বিশ্বের একাধিক দেশে করোনার দাপট আগের থেকে বাড়লেও ভারতে করোনা গ্রাফ এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৫২৮ জন। দেশের অ্যাকটিভ কেস কমতে কমতে নেমে এসেছে ৩০ হাজারের নিচে। কিন্তু একইরকম ভাবে দেশে কমছে পরীক্ষা এবং টিকাকরণের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৬ লক্ষের ৩৩ হাজার ৮৬৭ জনের। আর টিকা দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৫ লক্ষ মানুষকে।