সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলা হয়, অন্তর্দৃষ্টি বা বোধ নাকি মানুষের চেয়ে অন্যান্য প্রাণীদের বেশি৷ তাই তারাই আগে বুঝতে পারে বিপদসংকেত৷ ফণীর আগাম বার্তাও কি পেয়েছিল ওড়িশার সমুদ্রতটে ভিড় করা কচ্ছপের দল? তাই কি এবার গঞ্জামের সৈকতমুখো হয়নি? তাদের অনুপস্থিতি এই প্রশ্নই তুলে দিল৷
প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পালে পালে অলিভ রিডলে কচ্ছপ পৌঁছে যায় ওড়িশার গঞ্জাম সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে৷ সেটাই তাদের প্রজননের মরশুম৷ সৈকতের বালি খুঁড়ে ডিম পাড়ে৷ সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ৷ তারপর আবার সমুদ্রের জলে ফিরে যায়৷ কয়েকমাস পর ডিম ফুটে খুদে রিডলেরা নিজেদের বাসস্থান সমুদ্রের জলে ফিরে যায়৷ এটাই প্রতি বছরের রুটিন৷ কিন্তু এবছর গঞ্জামে আগমনকারী রিডলে কচ্ছপদের সংখ্যা ছিল মাত্র হাজার খানেক৷ বিষয়টি চোখে পড়লেও, তেমন আমল দেননি কেউই৷ কিন্তু সম্প্রতি ফণীর তাণ্ডবে তছনছ ওড়িশায় ছবি অলিভ রিডলে কচ্ছপদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে৷ তীব্র শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে গঞ্জাম এলাকা বড় ক্ষতির মুথে পড়েছে৷
[আরও পড়ুন : ‘জোট না হলেও নেত্রী হিসেবে মমতাকে শ্রদ্ধা করি’, সুর নরম প্রিয়াঙ্কার]
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম আঁচ এতটাই পেয়েছিল সরীসৃপগুলো? এতই সক্রিয় তাদের ইন্দ্রিয়? তাই কি এবার গঞ্জাম বাদ দিয়ে, দিক বদলে কেন্দাপাড়ায় সৈকত এলাকায় উঠেছিল কচ্ছপের দল? যদিও এসব প্রশ্নের উত্তর এখনই নির্দিষ্টভাবে দিতে চাইছেন না বনদপ্তরের কর্তারা৷ তাঁদের মতে, এই প্রথমবারই যে অলিভ রিডলেরা গঞ্জামের সৈকতে এল না, এমনটা নয়৷ ২০০২, ২০০৭ সালেও এই চিত্র দেখা গিয়েছিল৷ সমুদ্রতটে সেভাবে দেখা মেলেনি এই কচ্ছপদের৷ সেবারও কারণ হিসেবে তেমন যুক্তি খুঁজে পাননি বিশেষজ্ঞরা৷ এবারও তাই ফণীকেই একবাক্যে দায়ী করতে তাঁরা নারাজ৷
[আরও পড়ুন : এবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রীই]
বিরল প্রজাতির অলিভ রিডলে কচ্ছপের সবচেয়ে বড় মাস-নেস্টিং সাইট ওড়িশার গঞ্জাম, কেন্দাপাড়ার সৈকত৷ তাদের পরবর্তী পছন্দের জায়গা মেক্সিকো এবং কোস্টা রিকার সমুদ্রতট৷ তবে এবছর ওড়িশার তটে এত কম সংখ্যক কচ্ছপের আগমনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম আঁচ পাওয়ার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷
The post ফণীর আঁচ আগেই পেয়েছিল! সৈকতে কচ্ছপের অনুপস্থিতিতে অবাক স্থানীয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.