আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জল, বিদ্যুৎহীন। একই দুর্ভোগ দুই ২৪ পরগনার বহু এলাকার বাসিন্দাদেরও। না মিলেছে বিদ্যুৎ সংযোগ, না ঠিকমতো জল পরিষেবা পেয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম পর্ষদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এর সুরাহা করার জন্য কার্যত নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে,শহর কলকাতার পথঘাট থেকে গাছ সাফ করার জন্য সেনা নামানো হয়েছে। আমফান পরবর্তী বাংলা কেমন আছে, তারই সমস্ত খুঁটিনাটি:
সন্ধে ৬: দিনভর কলকাতার রাস্তায় উপড়ে পড়া গাছপালা সাফ করেছে সেনাবাহিনী। কাজ শেষে পুরসভায় বৈঠক করা হয়। পুরসভায় মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘ইদেও শহর পরিষ্কারের কাজ হবে। আমি নিজেও ওআসব।’ তিনি আরও জানান, রবিবার গাছ কাটা হয়েছে, সোমবার পাতা সরানোর কাজ চলবে। এর জন্য অতিরিক্ত ৩০০ কর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে। অভিযোগ তুললেন সিইএসসি’র বিরুদ্ধেও।
বিকেল ৫.১৫: বিদ্যুৎ নেই এখনও। প্রতিবাদে নিউ আলিপুরে ট্রায়াঙ্গুলার পার্কে বেশ কয়েকটি বহুতলের বাসিন্দারা নামলেন পথ অবরোধে।
বিকেল ৪.১০: জল-বিদ্যুৎ পরিষেবা অমিলের সুযোগে কালোবাজারির অভিযোগ। হিঙ্গলগঞ্জের এক স্কুল থেকে জল নিয়ে বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ। তা ফাঁস হতেই ক্ষিপ্ত জনতা স্কুলে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তদের ধরে চলে গণপিটুনি।
দুপুর ২.৫০: আমফানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর একাধিক স্টেশন। ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙেছে স্ক্রিনিং ডোর।
দুপুর ২.৩০: সিইএসসি বিভ্রান্ত করছে সাধারণ মানুষকে, বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি এখনও। অভিযোগ অবরোধকারীদের।
দুপুর ২.২০: ”প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিভাজন নয়, সমন্বয় চাই। প্রধানমন্ত্রী যে সাহায্য দিয়েছেন, তার প্রতিফলন যেন দেখা চায়, সেটাই চাইব।” রবিবার বসিরহাট মহকুমার আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত কামারডাঙা, তপারচর ও খোলাপোতা-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে করে বললেন রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
দুপুর ১.৫০: নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ এলাকাতেই ফিরল বিদ্যুৎ। জানাল বিদ্যুৎ নিগম পর্ষদ (WBSEDCL)।
দুপুর ১.২০: চারদিন পর স্বস্তি। দক্ষিণ কলকাতার কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক। যাদবপুর, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, পাটুলি-সহ ১৫ এলাকায় প্রায় চারদিন পর এল বিদ্যুৎ। সিইএসসি’র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানাল স্বরাষ্ট্র দপ্তর।
দুপুর ১.১১: বিদ্যুতের দাবিতে বাঘাযতীন বাজারে অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দুপুর ১২.৪০: রাজনীতির চেষ্টা না করে সকলে মিলে বিপর্যস্ত এলাকায় সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত। কেউ কেউ রাজনীতির স্বার্থেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ঝামেলা তৈরি করছেন। দিলীপ ঘোষকে আটকানো প্রসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধেই তোপ দেগে বললেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
দুপুর ১২.২৭: গাছ কাটা নিয়ে বিবাদ। বাগদায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতিকে কোপানোর অভিযোগ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে। পালটা তৃণমূল সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর যুব তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
দুপুর ১২.২০: হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে দিলীপ ঘোষকে আটকানোর পর মানুষজনের জমায়েত। তা হঠাতে মাইকিং পুলিশের। করোনা সংক্রমণ এড়াতে জমায়েত নিষিদ্ধ, ঘোষণা করে ভিড় কমাতে হল।
দুপুর ১২: আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে ফের আটকে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়গপুর যাওয়ার পথে তাঁকে নন্দকুমারের কাছে অবরোধে আটকানো হল। দিলীপ ঘোষের পালটা হুঁশিয়ারি, বিজেপিও তমলুকে তাহলে অবরোধে নামবে।
সকাল ১০.৫০: বিদ্যুৎ ফেরানোর দাবিতে আজও অব্যাহত বিক্ষোভ। রাস্তা অবরোধে নামলেন বারুইপুরের বাসিন্দারা।
সকাল ১০.০৫: পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনা নামানো নিয়েও ফের রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যপাল। টুইটে তাঁর বক্তব্য, তিন দিন আগেই সেনা নামানো উচিত ছিল।
সকাল ৯.৫৫: দ্রুত আমফান মোকাবিলায় বাংলাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ায় কেন্দ্রের দরাজ প্রশংসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র।
সকাল ৯.৪৫: আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে দেওয়া এক হাজার কোটি টাকা হাতে এল। ওড়িশা পেল ৫০০ কোটি। টুইটারে জানালেন নির্মলা সীতারমণ।
সকাল ৯.২৫: জল, বিদ্যুতের দাবিতে বেহালার পর্ণশ্রীতে বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের। এদিকে, গাছ কাটতে গিয়ে বাধার মুখে সেনা। সিইএসসি’র তরফে কেউ না থাকায় গাছ কেটে সরানো যায়নি বলে অভিযোগ।
সকাল ৮.৪৭: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানে তছনছ হয়ে যাওয়া বাংলার ছবি দেখে বেদনাতুর হৃদয়। বাংলাকে সাহায্য করতে সুদূর পোল্যান্ডে বসে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন আইলিগ জয়ী কোচ কিবু ভিকুনা ও তাঁর স্ত্রী।
সকাল ৮.৩০: সল্টলেকে পূর্ত ভবনে সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ ভেঙে পড়া গাছে। তা সরাতে কাজ শুরু করেছে সেনা। প্রতিটি দলে ১০ -১৫জন সদস্য রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: হুগলিতে পানীয় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ, ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ লকেটের]
সকাল ৮.১২: কলকাতা ও সংলগ্ন দুই জেলায় আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনার সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করবেন বনদপ্তরের কর্মীরাও।
সকাল ৮: লকডাউনের কারণে কর্মী সংখ্যা অনেক কম। আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা এত কম সংখ্যক কর্মী দিয়ে সম্ভব নয়। সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সরকারি সাহায্য নেওয়ার আবেদন জানাল কর্মী সংগঠন।
সকাল ৭.৪০: নরেন্দ্রপুর এলাকায় জল ও জেনারেটর নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ। বিদ্যুৎ না থাকা অচল মোবাইল চার্জ করে দেওয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে ঘুরছেন অনেকে। এর বিনিময়ে প্রচুর টাকাও নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ মোবাইল টাওয়ারই নেই। ফলে খরচ করে মোবাইল চার্জ করার পরও যোগাযোগের কাজ বিঘ্নিত।
[আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা, গত ২৪ ঘণ্টায় হুগলিতে সর্বাধিক আক্রান্তের হদিশ]
সকাল ৭.২৬: উপনগরী সল্টলেকে প্রায় আড়াই হাজার ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজ রাত থেকেই শুরু হয়েছে। সেক্টর ওয়ানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেমে রাস্তা সাফ করেছে অনেকাংশেই। যে ক’টি অবশিষ্ট রয়েছে তা সোমবারের মধ্যে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা যাবে বলে আশাবাদী বিধাননগরের পুর কর্তৃপক্ষ।
সকাল ৭: এখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর লাগোয়া বহু এলাকায় নেই বিদ্যুৎ, জল। চারদিন হল অন্ধকারে ডুবে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তায় উপড়ে পড়া গাছ তাঁরা নিজেরাই সরিয়ে দিচ্ছেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে অনুরোধ, শুধুমাত্র সংযোগ করে দিতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, সেটুকু কাজ করার জন্যেও বিদ্যুৎ কর্মীদের দেখা মিলছে না। যথেষ্ট তৎপরতার অভাব তাঁদের মধ্যে।
The post আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি LIVE: ‘ইদেও কাজ হবে, আমিও আসব’, ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের appeared first on Sangbad Pratidin.