shono
Advertisement

বিধানসভা নির্বাচন শেষ হলেই পুরভোটের দামামা, জনসংযোগ জারি কাউন্সিলরদেরও

নিজেদের এলাকায় জনসংযোগ ঝালিয়ে নিচ্ছেন পুরপ্রতিনিধিরা।
Posted: 12:18 PM Apr 06, 2021Updated: 12:20 PM Apr 06, 2021

কৃষ্ণকুমার দাস: বিধানসভা নির্বাচন যেন তাঁদের কাছে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ। জনসংযোগ বাড়িয়ে নিচ্ছেন প্রাক্তন কাউন্সিলররা। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Election) আগে কলকাতা পুরসভা (KMC) নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। গত বছর মে মাসে তৃণমূল পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে করোনার প্রকোপ থাকায় গত বছর পুরসভা নির্বাচন করা যায়নি। বিধানসভা ভোটের পর পুরসভা নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে। তাই বিধাসনভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে নেমে ওয়ার্ডে নিজেদের জনসংযোগও বাড়িয়ে নিচ্ছেন প্রাক্তন কাউন্সিলররা। প্রচারে বেরিয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সমস্যাগুলো শুনে নোট করে নিচ্ছেন। শুধু জনসংযোগ বাড়ানো নয়, গত পুরসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের হার বিধানসভা ভোটে ধরে রাখতে চাইছেন সব দলের কাউন্সিলররা।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তরুণ সাহার বক্তব্য, ”তৃণমূলস্তরে জনসংযোগ থাকে কাউন্সিলরদের। সারা বছর ওয়ার্ডে ঘুরে কাজ করি। ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি চিনি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আলাদা করে জনসংযোগ বাড়ানোর কিছু নেই। তবে জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের দরজায় না গেলে সমস্যার কথা জানা যায় না। বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে ওয়ার্ডে কারও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না তা শোনা হচ্ছে। সেগুলো সমাধানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের শাসকদলের কাউন্সিলর ছিলেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। সক্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে ওয়ার্ডেও পরিচিত। বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত বলেন, ”জনপ্রতিনিধি হিসাবে ওয়ার্ডে সারা বছর কাজ করছি। স্থানীয়দের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ থাকে। লকডাউন এবং আমফানে যেভাবে ওয়ার্ডে কাজ করেছি এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা বেড়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটের প্রচারেও ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। কারও কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে, সেগুলি মনোযোগ দিয়ে শোনা হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: পিছিয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিক! পর্ষদের নামে ভুয়ো পোস্ট ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া]

গত পুরসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রায় ৩৬০০ ভোট লিড ছিল। তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনেও এই ভোট ধরে রাখা হবে। ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা। বাবা স্বর্ণকমল সাহা এন্টালি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী। চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের মধে্য পড়ে ৫২ নম্বর ওয়ার্ড। নিজের কেন্দ্রে প্রচার সামলানোর পাশাপাশি বাবার কেন্দ্রে গিয়েও প্রচার চালাতে হচ্ছে তাঁকে। সন্দীপন সাহা বলেন, ”জনসংযোগ একদিনে তৈরি হয় না। জনপ্রতিনিধি হিসাবে ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে সবসময় রয়েছি। এখন বিধানসভা ভোটের প্রচার চলছে। ওয়ার্ডে কর্মিসভা মিছিল-মিটিং চলছে। বাড়ি বাড়ি গিয়েও প্রচারকাজ করছি। প্রচারে গিয়ে কারও কোনও সমস্যা থাকলে সেগুলোও শোনা হচ্ছে।” গত পুর নির্বাচনে ওয়ার্ডে প্রাপ্ত ভোট বিধানসভা নির্বাচনে ধরে রাখা যাবে তিনি বলে আশাবাদী।

[আরও পড়ুন: অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো নম্বর থেকে ফোন করে বিচারপতিকে হুমকি, পুলিশের জালে যুবক]

শুধু শাসকদল নয়, বিরোধী জনপ্রতিনিধিরাও ওয়ার্ডে নিজেদের জনসংযোগ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন রত্না রায় মজুমদার। বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি বলেন, ”বিধানসভা ভোটের পরই পুরসভা নির্বাচন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুরসভা নির্বাচন না হওয়ায় ওয়ার্ডবাসীকে চরম হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সেই সমস্যার কথা আমাদের কাছে তুলে ধরছেন।”

৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাম কাউন্সিলর ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ”প্রতিদিন সকাল থেকে ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াই। ভোটের প্রচারেও বাড়ি বাড়ি যাওয়া হচ্ছে। তাঁদের সমস্যার কথা শোনা হচ্ছে।” এই ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। পুরনির্বাচনে তিন হাজার ভোটে লিড দিয়েছিলেন বাম প্রার্থী। বিধানসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বামেদের ভোট আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন। গত পুরনির্বাচনে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কাউন্সিলর ছিলেন বিজয় ওঝা। তাঁর কথায়, ”দলীয় প্রার্থীর প্রচারে বেরিয়ে ওয়ার্ডের অভাব-অভিযোগও শুনছি। গত পুরনির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট এবার বিধানসভায় বাড়বে বলে আশা করছি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement