shono
Advertisement

Breaking News

জামিয়া হিংসায় শারজিল, সফুরারা ‘বলির পাঁঠা’, ১১ অভিযুক্তকে নিষ্কৃতি দিল্লির আদালতের

'ভিন্নমত পোষণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতারই রূপ', মন্তব্য বিচারকের।
Posted: 08:05 PM Feb 04, 2023Updated: 08:05 PM Feb 04, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে জামিয়া হিংসায় (Jamia Nagar Violence) অভিযুক্ত ১১ জনকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল দিল্লির এক আদালত (Delhi Court)। এদের মধ্যে রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের নেতা শারজিল ইমাম, সফুরা জারগর প্রমুখ। মামলার রায়ে বলা হয়েছে, “ভিন্নমত পোষণ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতারই একটি রূপ।” এমনকী বলা হয়েছে, শারজিল, সফুরাদের ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

এর পরেও এখুনি জেলমুক্ত হচ্ছেন না গবেষক শারজিল। জামিয়া নগর থানায় যে মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন তিনি, সফুরা-সহ ১১ জন। এছাড়াও ২০২০-তে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UPA) ধারায় মামলা হয়। সেই মামলা এখনও চলছে। উল্লেখ্য, শারজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে প্রতিবাদ চলাকালীন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (Jamia Millia Islamia)এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে (Aligarh Muslim University) বিভাজনমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। এর পরেই দেশের পাঁচ রাজ্যে দেশদ্রোহ-সহ একাধিক মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: ফের জনপ্রিয়তম রাষ্ট্রনেতার খেতাব মোদির মুকুটে, পিছনে বাইডেন-সহ তাবড় বিশ্বনেতারা]

দিল্লির দায়রা আদালতের বিচারক আরুল বর্মা অবশ্য জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)-এর গবেষক শারজিলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। বরং তিনি বলেন, “এজেন্সিগুলির উচিত আসল দোষীকে ধরা, ভিন্নমত পোষণকারীদের নয়। এজেন্সি নিজের সুবিধার জন্য ভিন্নমত এবং দাঙ্গাকারীদের মধ্যে তফাৎ তা মুছে দিতে পারে না।” শুনানির শুরু থেকেই ইমামের আইনজীবী বলে আসছিলেন, তাঁর মক্কেল (শারজিল ইমাম) শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন, হিংসাত্মক প্রতিবাদ নয়। এই দাবিও মেনে নেন বিচারক।

[আরও পড়ুন: জম্মুতে ‘সুগন্ধি বিস্ফোরণে’ অভিযুক্ত জঙ্গিকে বাড়ি ভাড়া! গ্রেপ্তার পুলিশকর্মী]

শাহিন বাগ প্রতিবাদের অন্যতম উদ্যোক্তা শারজিলকে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি বিহারের জহানাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মুম্বই, দিল্লির পাশাপাশি বিহারের জহানাবাদে তাঁর পৈতৃক ভিটেতেও ওই সময় হানা দিয়েছিল পুলিশ আধিকারিকরা। জেরার জন্য তুলে আনা হয় তাঁর ছোট ভাইকে। তার পরেই শারজিলের নাগাল পেয়েছিল পুলিশ। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওর জেরেও বিতর্কে জড়ান শারজিল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement