সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোটদের টিকাকরণে (Children Vaccination) শুরুতেই সাফল্য এসেছে। প্রথম তিন দিনে ১ কোটির বেশি করোনা টিকাকরণ হয়েছিল ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের। যার পর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু এদিন ছোটদের টিকাকরণ নিয়ে উদ্বেগের কথা শোনাল কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) নির্মাতা ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। সংস্থার তরফে জানানো হল, তাদের কাছে খবর আছে কোভ্যাক্সিন ছাড়াও করোনার অন্য টিকা দেওয়া হচ্ছে ছোটদের। এই বিষয়ে ভারত বায়োটেক সাবধান করে জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিনই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য একমাত্র পরীক্ষিত বা ক্লিনিকালি অ্যাপ্রুভড করোনার টিকা। ফলে এর অন্যথা যেন কোনওভাবেই না হয়।
উল্লেখ্য, ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনকে শিশুদের উপর জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে সিলেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। এর অন্যথা হলে তা ছোটদের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা খবর পাচ্ছি, কোথাও কোথাও ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের কোভ্যাক্সিনের বদলে করোনার অন্য টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে অনুরোধ করছি, অনুগ্রহ করে আপনারা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখুন, এবং কেবলমাত্র কোভ্যাক্সিনই দিন ছোটদের।”
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও রোগী দেখছেন চিকিৎসক! তুমুল উত্তেজনা দেগঙ্গায়]
নিজেদের বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক আরও জানিয়েছে, “কোভ্যাক্সিন ২-১৮ বছর বয়সিদের নিরাপত্তা, শারীরিক সক্ষমতা ইত্যাদির পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের পর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ভিত্তিতে অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমানে, এটিই ভারতে শিশুদের জন্য একমাত্র অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিন।”
[আরও পড়ুন: তিন দিনে ১ কোটিরও বেশি ছোটদের টিকাকরণ, যুবদের টুইটে শুভেচ্ছা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের শুরু থেকে করোনা যুদ্ধে আরও শান দিতে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। কো-উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে করোনা টিকা (Corona vaccine)পাচ্ছেন দেশের কমবয়সিরা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, ৩ জানুয়ারি থেকে ১৬টি বরোর ১৬টি স্কুলে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হবে। এইসঙ্গে টিকা মিলবে কলকাতার ৩৯টি মেগা সেন্টারেও। সেই মতোই ছোটদের টিকাকরণ চলছে। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের আধার কার্ড বা স্কুল আইডি কার্ড নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতেও একই নিয়মে শুরু হয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া।