সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারও করোনা (Coronavirus) হয়েছে শুনলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকে। যাঁর সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। তাঁর সঙ্গে নিমেষেই তৈরি হচ্ছে মানসিক দূরত্বও। বারবার রাজ্য সরকারের তরফে প্রচার করা হচ্ছে, আমাদের রোগের সঙ্গে লড়তে হবে, রোগীর সঙ্গে নয়। তা সত্ত্বেও অনেকেই করোনা রোগী এবং তাঁর পরিবারকে করে দিচ্ছেন কার্যত ‘একঘরে’। ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়ছেন করোনা রোগী এবং তাঁদের পরিজনেরা। এবার করোনা রোগীর পরিবারের সুস্থ সদস্যদের কার্যত ‘একঘরে’ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যদিও বাগবাজারের রাজবল্লভ পাড়ার বাসিন্দা ওই পরিবারের সদস্যদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
গত ২১ জুলাই ওই পরিবারের একজন বয়স্ক সদস্যের মৃত্যু হয়। তাঁর জ্বর এবং অন্যান্য কিছু করোনার উপসর্গ ছিল। তাই করোনাতেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর ওই পরিবারের ৯জন সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়। খরচ পড়ে সব মিলিয়ে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। রিপোর্ট আসার পর জানা যায় ওই পরিবারের পাঁচজন করোনা আক্রান্ত। বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ। স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, গত ২৩ জুলাই থেকে করোনা আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনেই রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের নতুন সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকেই নেই শুভেন্দু! রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন]
প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। বর্তমানে ওই করোনা রোগীদের পরিবারে নেই খাবার, ওষুধের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তাই গত শুক্রবার জিনিসপত্র কিনতে বেরোন ওই পরিবারের সুস্থ এক সদস্য। মিষ্টির দোকানে যান তিনি। অভিযোগ, এরপর আর মিষ্টি দেওয়া হবে না বলেই দোকান থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু কেন জিনিসপত্র দেওয়া হবে না? দোকান মালিক ওই পরিবারের সদস্যকে বলেন, “ওই পরিবারকে মিষ্টি বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি শান মিত্র। তাই তিনি জিনিস দিতে পারবেন না।” বাধ্য হয়ে বিষয়টি পুরসভায় জানান তাঁরা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শই দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
যদিও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি শান মিত্রের দাবি, “করোনা আক্রান্তের পরিবারের সুস্থ এবং অসুস্থ প্রত্যেক সদস্যই হোম আইসোলেশনের নিয়ম মানছেন না। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন তাঁরা। তার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। তাই বাড়ি থেকে অসুস্থদের বেরতে বারণ করেছিলাম। কোনওভাবেই সুস্থ সদস্যদের সেকথা বলিনি। আর তাছাড়া কোনও জিনিসের প্রয়োজন হলে আমাদের ফোন করে চাইতে বলা হয়েছে।” যদিও শানের দাবি খারিজ করেছে ওই পরিবার।
[আরও পড়ুন: নরমে-গরমের সম্পর্কে নয়া সমীকরণ? জন্মদিনে দিলীপকে বাবুলের শুভেচ্ছা ঘিরে জল্পনা]
The post বিক্রি করা যাবে না জিনিসপত্র! করোনা রোগীর পরিবারের জন্য ‘ফতোয়া’ জারি তৃণমূল নেতার appeared first on Sangbad Pratidin.