তনুময় ঘোষাল: কংগ্রেসের সঙ্গে কি রাজ্যে জোটে যাবে ? উত্তর নেই সিপিএমের কাছেই। উলটে পাশ কাটিয়ে গেল সিপিএম শীর্ষনেতৃত্ব। সিপিএমের যুক্তি, আগে বিজেপি বিরোধী ভোটকে বেশি করে সংগঠিত করতে হবে। ভোটের পর এই নিয়ে আলোচনা হবে। সীতারাম ইয়েচুরি বা সূর্যকান্ত মিশ্রর মতে, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরোধী সব ধর্মনিরপেক্ষ দলকে একদিকে থাকতে হবে। তবে মহাজোটের পথে তাঁরা হাঁটবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে এড়িয়ে গেলেন দলীয় নেতারা।
লোকসভা ভোটে সিপিএম নেতারা জোট নিয়ে সওয়াল তুলেছিলেন। সম্প্রতি কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্ব জানিয়েছে, জোট সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড। এই ইস্যুর মীমাংসা করতে সীতারাম ইয়েচুরিকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। রবিবার এই প্রসঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, “জোট হবে কি না, তা ভোটের পরই ঠিক হবে। তবে সব ধর্মনিরপেক্ষ দলকে একসঙ্গে থেকে বিজেপিকে হারাতে হবে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সামনেই তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ। সেই সমাবেশে কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি এলে সিপিএম বেকায়দায় পড়বে। তাই আলিমুদ্দিন এখন থেকে জল মাপছে। কংগ্রেস কী করে সেটাই দেখতে চাইছে। তাই এদিনও আগবাড়িয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সীতারাম ইয়েচুরি বা সূর্যকান্ত মিশ্র। সীতারামের কথায়, “লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী ভোটকে সংগঠিত করাই মূল লক্ষ্য।”
[বারবার বেফাঁস মন্তব্য, দিলীপকে ফের সতর্ক করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব]
সীতারাম এদিন উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ দিয়ে জানান, দু’টি বিরোধী দল বিজেপি বিরোধী ভোটকে এক করতে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। রবিবার সিপিএমের কলকাতা জেলা পার্টি অফিসে প্রয়াত নিরুপম সেনের স্মরণসভায় এসেছিলেন সীতারাম। দেবেগৌড়া থেকে মোদির উদাহরণ দিয়ে বলেন, সবক্ষেত্রেই আগে ভোট হয়েছে, তারপর জোট হয়েছে। এবারও সেই পথে হাঁটবে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। স্মরণসভায় বক্তব্য রেখে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “সামনে ফাঁকা মাঠ। বিজেপি যে অপ্রতিরোধ্য নয়, তা স্পষ্ট হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে।” তাঁর দাবি, “সিপিএম ও বামেদের দিকে কিছু মানুষ ফিরছেন।” রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সিঙ্গুর থেকে কলকাতার মিছিলে তুলনামূলকভাবে মানুষ বেশি হওয়ায় তা অক্সিজেন জুগিয়েছে আলিমুদ্দিনকে। তাই একথা বললেন সূর্যকান্ত। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে সিপিএম সম্পাদক বলেন, “বিজেপি চাইছে দেশে বেশি সংখ্যায় ফ্রন্ট গঠিত হোক। তাতে তাদের সুবিধা হবে। ভোট ভাগ হবে।” অসম-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অসহিষ্ণুতা বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক। শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন প্রয়াত নিরুপম সেনের শিল্পবন্ধু ভাবমূর্তির কথা বললেও সিঙ্গুর প্রসঙ্গে রা কাড়েনি সিপিএম। সভায় শরিক দলগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও কেউ বক্তব্য রাখেননি। বক্তব্য রাখেন বিমান বসু। প্রয়াত নিরুপম সেনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
[মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক]
The post জোট নিয়ে সাবধানী সিপিএম, প্রশ্ন এড়াল শীর্ষনেতৃত্ব appeared first on Sangbad Pratidin.