shono
Advertisement

লোকাল চালু হলেও বন্ধ হকারি, আন্দোলনকারীদের পাশে একযোগে দাঁড়াল তৃণমূল, সিপিএম

প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্টেশনে চলছে হকার বিক্ষোভ।
Posted: 08:45 PM Nov 19, 2020Updated: 08:45 PM Nov 19, 2020

সুব্রত বিশ্বাস: প্রায় আট মাস পর লোকাল ট্রেন চালু হলেও রেল নির্ভর জীবিকা হকারি আজও বন্ধ। লক্ষ লক্ষ পরিবার এখনও জীবিকাহীন। দুঃসহ যন্ত্রনা শিকার পরিবারগুলোর মুখে অন্ন তুলে দিতে মরিয়া রেল (Rail) হকাররা। ট্রেন চালু হতেই লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বসিরহাট স্টেশনের বাইরে জড়ো হয়ে হকাররা (Hawker) আন্দোলনের পাশাপাশি নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে রেলের কাছে স্মারকলিপি দেন। বুধবার শিয়ালদহ স্টেশনেও একই দাবিতে হকাররা বিক্ষোভ দেখান। এছাড়া হাওড়া, বর্ধমান, শেওড়াফুলি, কাটোয়া, ক্যানিং, বজবজ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ-সহ অসংখ্য স্টেশনে প্রায় রোজই চলছে বিক্ষোভ।

Advertisement

ব্যান্ডেল স্টেশনে বহু দিন ধরে চা-বিস্কুট বিক্রি করে সংসার চালান শোভা দাস। আট মাস ধরে রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন। বৃদ্ধা মা, ভাই মাথার ওপর। রেশনের উপর নির্ভর করে পেট চলছে না। শোভার কথায়, ”দৈনিক শ’পাঁচেক টাকা রোজগার হয়ে যেত, তা বন্ধ হওয়ায় এখন দিশেহারা দশা।” হাওড়া লাইনে বাদাম, চানাচুর ট্রেনে ফেরি করে তপন সাহা। বয়স নিদেনপক্ষে তেরো। বাবা পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে পড়ায় পেটের টানে দু বছর আগে এই পেশাকেই আঁকড়ে ধরেছিল কিশোর। দীর্ঘ আট মাস কর্মহীন। লকডাউনে পাড়ায় সবজি বিক্রি করছিল। এখন তা দামি হওয়ায় পুঁজিহীন হয়ে পড়েছে তপন। তাই হকারি করতে না পেরে বড়দের সঙ্গে রুটিরুজির আন্দোলনে সেও সামিল।

[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়াননি, আমিও দল ছাড়িনি’, সমবায়ের মঞ্চে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর]

এই অবস্থায় আন্দোলনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে হকাররা পথে নেমেছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোর কমিটির সদস্য কৌশিক দত্ত বলেন, ”আট মাস কাজ নেই। হাজার হাজার হকার ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। ট্রেন চললেও ট্রেন ও স্টেশনে হকারির অধিকার নেই। অবিলম্বে হকারদের স্টেশনে ঢুকতে দিতে হবে।” তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী দোলা সেন বলেন, ”ছট, জগদ্ধাত্রী পুজো কাটলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করা হবে কর্মসূচি। এরপর ডিসেম্বরের প্রথম থেকে তা চালু করার কথা বলতে হবে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আবার এটুকু সময়ের ব্যবধানও চাইছেন না। তিনি বলছেন, ”মুখ্যমন্ত্রীকে রেল নির্ভর জীবিকার বিষয়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য লিখিতভাবে অনেক আগেই জানিয়েছি আমরা। মানুষকে বাঁচতে হবে। তাই অনুমতির অপেক্ষায় তাঁরা থাকবেন না।” রেল অবশ্য সাফ জানিয়েছে, হকারি অবৈধ। তাই হকারদের স্টেশনে বা ট্রেনে অনুমতি দেওয়া যাবে না।

[আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশ, করোনা আবহে আগামী সপ্তাহ থেকে খুলছে রাজ্যের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি]

অন্যদিকে, আগামী সপ্তাহে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে মঙ্গল ও বুধবার জগদ্ধাত্রী চক্ররেল নিয়ন্ত্রণ করবে পূর্ব রেল। এক এক জোড়া করে মোট তিন জোড়া ট্রেন কলকাতা, মাঝেরহাট ও বালিগঞ্জ থেকে চলবে। উত্তর-দক্ষিণে চলাচলকারী দু’জোড়া ট্রেনকে কাঁকুড়গাছি দিয়ে ঘুরপথে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement