সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পালটে দেওয়া হোক বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে একাধিকবার এই দাবি উঠেছে পদ্মাপারে। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের আমলে যতই দাবি উঠুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আজও বাজে 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।' সেই ছবি আরও একবার ধরা পড়ল দুবাই ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ক্রিকেটার, সমর্থক- সকলেই একসুরে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন। বুকে হাত রেখে আমজনতার সাফ বার্তা, বাংলাদেশ আর 'আমার সোনার বাংলা' সমার্থক।
বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমি জাতীয় সঙ্গীত বদলের দাবি তোলেন। যুক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয়। তাঁর লেখা গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে কেন। পাশাপাশি গানটি ইসলামিক ভাবধারাতেও রচিত নয়। আর এই দাবি ওঠার পর থেকেই শুরু বিতর্ক। অনেকেই এই দাবিকে সমর্থন করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও এই ইস্যুতে 'মৌনং সম্মতিম লক্ষণম' অবস্থান নিয়েছেন।
তবে এমন দাবির বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ। তসলিমা নাসরিন সাফ জানান, দেশের জাতীয় সংগীত কেড়ে নেওয়া দেশের হৃদপিণ্ড কেড়ে নেওয়ার মতো। একজোট হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে জামাতি দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রতিবাদের ভঙ্গিতে নয়, কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে পদ্মাপারের আমজনতা জানিয়ে দিল, হৃদয়ে থাকবে 'আমার সোনার বাংলাই'। জাতীয় সঙ্গীত বদলের দাবিতে বাংলাদেশে ঝড় উঠলেও, দেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবে এই রবীন্দ্রসঙ্গীতই।
বৃহস্পতিবার দুবাই ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ম্যাচের আগে প্রথামাফিক জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়ে দেখা গেল, ক্রিকেটারদের প্রত্যেকে গলা মিলিয়ে একসুরে গাইছেন। স্টেডিয়ামে থাকা বাংলাদেশি সমর্থকরাও বুকে হাত রেখে গলা মিলিয়েছেন জাতীয় সঙ্গীতে।
