সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুরন্ত বোলিংয়ে নিজের দলকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন মহম্মদ শামি। কিন্তু সোমবারের চিন্নাস্বামী দেখল ব্যাটার শামিকে। মাত্র ১৭ বলে ৩২ রান করে তিনি বাংলার জয় নিশ্চিত করেন। টেলএন্ডার এবং বোলারদের দাপটে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেলেন অভিষেক পোড়েলরা। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল চন্ডীগড়।
দিনকয়েক আগে চিন্নাস্বামীতে কর্নাটকের বিরুদ্ধে রনজি খেলেছিল বাংলা। সোমবার সেই চিন্নাস্বামীতে চন্ডীগড়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামেন সুদীপ ঘরামিরা। চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বেশ ভালো ফর্মেই রয়েছে বাংলা। একমাত্র মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল শামিদের। বাকি সব ম্যাচে জিতে বঙ্গ ব্রিগেড পৌঁছে যায় নকআউটে।
প্রিকোয়ার্টারে বাংলার প্রতিপক্ষ ছিল চন্ডীগড়। চিন্নাস্বামীর ব্যাটিং সহায়ক পিচে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন চন্ডীগড় অধিনায়ক মনন ভোহরা। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপাকে পড়ে বাংলা। দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে যান অভিষেক। একই ওভারে অধিনায়ক সুদীপের উইকেটও হারায় বাংলা। তার পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে বাংলার উইকেট পড়তে থাকে। গত ম্যাচে ভালো রান করা করণ লাল এদিনও ৩৩ রান করেন। ২৮ রান আসে ঋত্বিকের ব্যাট থেকে। কিন্তু বাংলাকে ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন টেলএন্ডাররা। ২৪ বলে ৩০ রান করেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক। সঙ্গে ৩২ রানের ইনিংস শামির। নিচের সারির দুই ব্যাটারের দাপটে ২০ ওভার শেষে ১৫৯ রান তোলে বাংলা।
রান তাড়া করতে নামা চন্ডীগড় শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন শামিই। প্রথম ওভারে বল করতে এসে ওপেনার আরসলান খানকে শূন্য রানে আউট করেন তিনি। তার পর থেকে চিন্নাস্বামীতে দাপট দেখালেন বঙ্গ পেসার সায়ন ঘোষ। চার ওভার বল করে ৩০ রান তিনি চার উইকেট তুলে নেন। একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই চালায় চন্ডীগড়। কিন্তু ১৫৬ রানে শেষ হয়ে যায় রাজ বাওয়াদের ইনিংস। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ৩ রানে জিতে সৈয়দ মুস্তাক আলির নকআউট পর্ব শুরু করল বাংলা।