প্রথম ইনিংস
ভারত: ১৮০/১০ (নীতীশ ৪২, স্টার্ক ৪৮/৬)
অস্ট্রেলিয়া: ৩৩৭/১০ (হেড ১৪০, বুমরাহ ৬১/৪)
দ্বিতীয় ইনিংস
ভারত: ১৭৫/১০ (নীতীশ ৪২, কামিন্স ৫৭/৫)
অস্ট্রেলিয়া: ১৯/০ (ম্যাকসুইনি ১০*)
অস্ট্রেলিয়া জয়ী ১০ উইকেটে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই অ্যাডিলেড, যেখানে রয়েছে ৩৬ রানে অলআউটের কলঙ্ক। না, এবার সেই লজ্জা ধাওয়া করেনি। কিন্তু হারের হাত থেকে রেহাই মিলল না। প্রথম ইনিংসে স্টার্কের বলে চূর্ণ হয়েছিলেন রোহিতরা। দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাঁর সামনে চূর্ণ হল নীতীশ রেড্ডির যাবতীয় লড়াই। ভারত শেষ পর্যন্ত হারল ১০ উইকেটে। পারথের জয়ের আনন্দ মুছিয়ে বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ফলাফল এখন ১-১।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮। পিছিয়ে ছিল ২৯ রানে। জয় যে একপ্রকার অসম্ভব, তা তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলছিলেন ঋষভ পন্থ, নীতীশ রেড্ডিরা। আশা করা গিয়েছিল, তৃতীয় দিন সকালে অন্তত ভারতকে একটা সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দিতে পারবেন ব্যাটাররা। তা আর হল কোথায়? অনর্থক তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন পন্থ (২৮)। দ্রুত ফিরে গেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও (৭)। একা নীতীশ কিছুক্ষণ নকল বুঁদিগড় রক্ষা করলেন।
শেষ পর্যন্ত কামিন্সের বলে আউট হলেন নীতীশও। আপার কাট করতে গিয়ে খেয়ালই করেননি থার্ড ম্যানে তাঁর জন্য ফাঁদ পাতা ছিল। ৪২ রান করে ফিরলেন নীতীশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। ৫ উইকেট পেলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ভারতের ইনিংস শেষ হল ১৭৫ রানে। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৯ রান। কোনও উইকেট না হারিয়েই তা তুলে নিল খোয়াজা-ম্যাকসুইনি জুটি।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮০ রানে। ৬ উইকেট তোলেন মিচেল স্টার্ক। জবাবে অস্ট্রেলিয়া করে ৩৩৭ রান। ১৫৭ রানের লিড সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতকে নাজেহাল করেন অজি পেসাররা। এবারও ব্যর্থ রোহিত-বিরাটরা। একমাত্র লড়াই চালালেন নীতীশ। ভারতকে ইনিংস হারের হাত থেকে বাঁচান তিনি। কিন্তু নীতীশ ফিরতেই সমস্ত প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায়। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ফলাফল এখন ১-১। সেই সঙ্গে ব্যাটিং-বোলিং, দল নির্বাচন নিয়েও একাধিক প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল।
