সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতেই তাঁর অভিষেক হয়েছে। যা নিয়ে দীর্ঘ চর্চা ছিল। কিন্তু পারথ টেস্টের দুটো ইনিংসেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। অ্যাডিলেডেও ভারতের ব্যাটিংয়ের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ছোটবেলার দারিদ্র্য সামলে তাঁর উত্থান। বিরাট কোহলিকে আদর্শ মেনেই শুরু ক্রিকেট অধ্যায়। পিঙ্ক বলে দিন রাতে টেস্টের আগেই নিজের জীবনের কথা উজাড় করে দিলেন নীতীশ।
পারথে প্রথম ইনিংসে করেন ৪১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। আর অ্যাডিলেডে চাপের মুখে করেন ৪২ রান। এদিন বিসিসিআইয়ের ভিডিওয় তিনি বলেন, "সত্যি কথা বলতে, শুরুর দিকে ক্রিকেট নিয়ে আমি অতো সিরিয়াস ছিলাম না। আমার বাবা আমার জন্য কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার উত্থানের পিছনে বহু ত্যাগ রয়েছে। একদিন দেখি, আমার বাবা টাকাপয়সার সমস্যার জন্য কাঁদছেন। আমি তখন ভাবি, এভাবে চললে হবে না। যেখানে আমার বাবা কষ্ট করছেন, সেখানে ক্রিকেটকে শুধু মজা হিসেবে নিলে চলবে না।"
সেই সঙ্গে নীতীশের সংযোজন, "তখন থেকেই আমি পরিশ্রম করা শুরু করি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে আজ দেখি, আমার বাবা আজ কত খুশি। আমার প্রথম জার্সি তাঁকে দিয়েছিলাম। তাঁর মুখে খুশির ঝলক দেখে আমারও ভালো লেগেছিল।"
ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকেই বিরাটকে আদর্শ বলে মনে করতেন ২১ বছর বয়সি ক্রিকেটার। ২০১৮-এ বিসিসিআইয়ের অনুষ্ঠানে অনুষ্কা ও বিরাটের সঙ্গে একটি ছবিও তোলেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তখনই বিরাট খুব বিখ্যাত। আমার মনে হয়েছিল, যদি পরে আর ছবি তোলার সুযোগ না পাই, তাই এখনই তুলে রাখি। ছোটবেলায় আমি নিজের বয়স হিসেব করতাম। যাতে বিরাট অবসর নেওয়ার আগেই আমি ওর সঙ্গে খেলতে পারি।" সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে নীতীশের। এবার তিনি কোহলির থেকে শিখতে চান কীভাবে নিজের রানকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করা যায়।