সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের বয়স তখন ১০.১ ওভার। ধরমশালা স্টেডিয়ামে একে একে নিভতে থাকে ফ্লাডলাইট। পাঞ্জাব কিংসের রান তখন ১ উইকেটে ১২২। ভারতীয় বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকায় ব্ল্যাকআউটের জন্যই ম্যাচ মাঝপথে পরিত্যক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন এক চিয়ারলিডার।
নাচের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এক চেয়ারলিডার। তখন আচমকাই আলো নিভে যায়। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই ফ্ল্যাডলাইট নিভে গিয়েছে। যদিও এরপর মাইকিং শুরু হয়। ২৩ হাজার দর্শকাসনের স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়ার নির্দেশ আসে। এমনকী আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল নিজে মাঠে নেমে বলেন, "নিরাপত্তার কারণে ম্যাচ বন্ধ রাখা হচ্ছে। জম্মুতে নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।"
পুরো পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করে ওই চেয়ার লিডার বলেন, "গোটা স্টেডিয়াম ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছিল। খুবই আতঙ্কের একটা পরিবেশ তৈরি হয়। সবাই চিৎকার করছিল। কেউ কেউ আবার বলছিলেন, বোমা পড়বে। সে এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা। আমরা স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছিলাম। আশা করব, আইপিএল কর্তৃপক্ষ আমাদের খেয়াল রাখবে। পুরো ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ি।"
যদিও এই আবহে স্থগিত হয়েছে আইপিএল। কবে, কীভাবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের আয়োজন হবে বা আদৌ হবে কিনা, সেটা নিয়ে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করছে বোর্ড। সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আসলে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রিকেটার ও সমর্থকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মেগা টুর্নামেন্ট চালানো ঝুঁকি নিতে চাইল না বিসিসিআই। আর এরমধ্যেই ভাইরাল ওই চিয়ারলিডারের ভিডিও।
