shono
Advertisement
KKR

লখনউয়ের রানের পাহাড়েই ধাক্কা, ইডেনে লড়াকু ব্যাটিংয়েও হার কেকেআরের

তীরে এসে তরী ডুবল নাইটদের।
Published By: Arpan DasPosted: 07:24 PM Apr 08, 2025Updated: 07:41 PM Apr 08, 2025

লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২৩৮/৩ (পুরান ৮৭*, মার্শ ৮১, হর্ষিত ৫১/২)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২৩৪/৭ (রাহানে ৬১, ভেঙ্কটেশ ৪৫, শার্দূল ৫২/২)
৪ রানে জয়ী এলএসজি।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীরে এসে নাইটদের ডুবল তরী। পেন্ডুলামের মতো এদিক-ওদিকে ঝুলতে থাকা একটি ম্যাচ। প্রথম ইনিংস 'জিতল' লখনউ সুপার জায়ান্টস। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ১৪ ওভার পর্যন্ত ছিল নাইটদের দাপট। ম্যাচ তখন কার্যত রাহানেদের হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল। সেখান থেকে আর রানের পাহাড় টপকাতে পারল না নাইট রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত লড়াকু ব্যাটিংয়েও ইডেনে লখনউয়ের কাছে ৪ রানে হারতে হল নাইটদের। ফের হারের সরণিতেই ফিরল শাহরুখ খানের দল। 

এদিন ইডেনে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেকেআর। দলে মইন আলির জায়গায় এসেছিলেন স্পেনসর জনসন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত একেবারেই কাজে লাগেনি নাইটদের। ৩ ওভারে ৪৬ রান দিলেন অজি পেসার। ২ উইকেট তুললেও দেদার রান বিলোলেন হর্ষিত রানা। মার্শ-পুরান ঝড়ে কার্যত দিশেহারা দেখাচ্ছিল নাইট বোলিংকে। মার্শ করলেন ৮১। পুরান অপরাজিত থাকলেন ৮৭ রানে। মার্করাম করেন ৪৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানে থামে লখনউ।

লক্ষ্যটা পাহাড়প্রমাণ। তার জন্য শুরুটা ভালো করতে হত। অকাল কালবৈশাখী উঠল নাইটদের ইনিংসেও। আকাশ দীপের প্রথম ওভারেই উঠল ১৬ রান। কুইন্টন ডি'কক ভালো শুরু করেও বড় রান পেলেন না। ৯ রান করে ফিরে গেলেন নাইট ওপেনার। সুনীল নারিন ১৩ বলে ৩০ রান করেন। কিন্তু ততক্ষণে প্রয়োজনীয় গতি পেয়ে গিয়েছিল নাইটরা। সেটাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। ৩৫ বলে ৬১ রান করেন তিনি। মারেন ৮টি চার ও ২টি ছয়। যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারও। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জুটিতে একটা সময় জয় প্রায় হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল নাইটদের। কিন্তু এভাবে যে পাশা বদলে যাবে কে ভেবেছিল! বোলিংয়ের সময় ডেথে ব্যর্থ হয়েছিলেন রাসেলরা। আর ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ রানে পড়ল ৫ উইকেট।

সেটা শুরু হল রাহানের আউট থেকে। তারপর রমনদীপ সিং ফিরলেন মাত্র ১ রানে। কেন পরের দিকে নামানো হচ্ছে, মাঝে এরকম একটা 'অভিমান'ও ছিল নাইট ব্যাটারের। এদিন আগে নেমেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। তরুণ তুর্কি অঙ্গকৃষ রঘুবংশী এদিন রান পেলেন না। রাসেলের মাসল পাওয়ার এদিনও দেখা গেল না। আর কবে দেখা যাবে সেটাও একটা প্রশ্ন। শেষবেলায় রিঙ্কু লড়লেন। পুরনো ফর্মের ঝলক দেখালেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান। কিন্তু সেই মিরাকল ঘটল না। শেষ পর্যন্ত নাইটদের ইনিংস শেষ হয় ২৩৪ রানে। ৪ রানে হারল নাইটরা। সেই সঙ্গে বোলিং নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠবে, তেমনই মাঝের সারির ব্যাটিং নিয়েও চিন্তা থাকবে। ফলে প্রশ্ন অনেক, উত্তর অজানা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement