সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিলামে তাঁদের জন্য ঝড় উঠেছিল। কোটি-কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন দল পেয়েছেন ঋষভ পন্থ, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুলরা। কিন্তু পারফরম্যান্সে কি ঝড় তুলতে পারবেন তাঁরা? কেমন ফর্মে আছেন এবারের আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটাররা?

ঋষভ পন্থ (লখনউ সুপার জায়ান্টস- ২৭ কোটি)
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার। মহা নিলামে রেকর্ড ২৭ কোটি টাকা দিয়ে পন্থকে কিনেছে লখনউ। তবে টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ফর্ম নিয়ে একটা খচখচানি থাকছেই। শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের জুলাইয়ে। জাতীয় দলে গম্ভীরের প্রথম পছন্দ বর্তমানে সঞ্জু স্যামসন। এমনকী ওয়ানডেতেও জায়গা দখল করেছেন কেএল রাহুল। পন্থের একমাত্র জায়গা টেস্ট। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে করেছেন ২৫৫। অবশ্য পন্থ চিরকালই দামাল। পাখির চোখ থাকবে কামব্যাকেও।
শ্রেয়স আইয়ার (পাঞ্জাব কিংস- ২৬.৭৫ কোটি)
সাম্প্রতিক সময়ে স্বপ্নের ফর্মে আছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার। করেছেন ২৪৩ রান। সেটা অবশ্য ওয়ানডেতে। এবার টি-টোয়েন্টিতে সেই ঝলক দেখাতে পারেন শ্রেয়স। গতবার কেকেআরের আইপিএল জয়ী অধিনায়ককে ২৬.৭৫ কোটি টাকায় কিনেছে পাঞ্জাব। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো ফর্মে ছিলেন। তবে দেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২৩-র ডিসেম্বরে।
ভেঙ্কটেশ আইয়ার (কলকাতা নাইট রাইডার্স- ২৩.৭৫ কোটি)
গত মরশুমে নাইটদের ট্রফি জয়ের অন্যতম কারিগর। ১৪ ম্যাচে করেছিলেন ৩৭০ রান। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৫৮। প্রথমে ছেড়ে দিলেও নিলাম টেবিলে ২৩.৭৫ টাকা খরচ করে তাঁকে ফের কিনে নেয় শাহরুখ খানের দল। সহ-অধিনায়কের দায়িত্বও পেয়েছেন। রনজিতে ৩৭০ রান করেছেন ভেঙ্কটেশ। তবে মাঝে ভয়ংকর চোট পাওয়ায় দুশ্চিন্তাও তৈরি হয়েছিল তাঁকে নিয়ে। সব আশঙ্কা উড়িয়ে নাইট জার্সিতে নামছেন 'ভেঙ্কি'। জাতীয় দলে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালে। বরুণ চক্রবর্তীর মতো কামব্যাক কি হবে?
অর্শদীপ সিং (পাঞ্জাব কিংস- ১৮ কোটি)
গত বছর পাঞ্জাবেই ছিলেন ভারতীয় পেসার। কিন্তু তাঁকে নিলামে তুলে আরটিএম ব্যবহার করে প্রীতি জিন্টার দল। খরচ পড়ে ১৮ কোটি টাকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম স্তম্ভ। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। তুলেছিলেন ১৭টি উইকেট। সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ছন্দে আছেন। গত আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ১৯টি উইকেট পেয়েছিলেন। এবারও আগুনে ফর্ম দেখাতে পারেন।
যুজবেন্দ্র চাহাল (পাঞ্জাব কিংস- ১৮ কোটি)
সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না যুজবেন্দ্র চাহাল। চর্চা রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও। ২০২৩-র আগস্টের পর জাতীয় দলের হয়ে আর খেলেননি। রনজি ট্রফিতে ভালো ফর্মে ছিলেন না। তবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ১০টি উইকেট তুলেছিলেন। গতবারের আইপিএলে রাজস্থানের জার্সিতে ১৮টি উইকেট পেয়েছিলেন। এবার 'কামব্যাক' ঘটাতে পাঞ্জাবের জার্সিতে জ্বলে উঠতে পারেন তিনি।
জস বাটলার (গুজরাট জায়ান্টস- ১৫.৭৫ কোটি)
আগের আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে ৩৫৯ রান করেছিলেন। এবার ১৫.৭৫ কোটিতে নতুন ঠিকানা গুজরাট। ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে সেভাবে রান পাননি। একই অবস্থা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে ফর্ম ভালো-মন্দ মিশিয়ে। শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেনে নেমে ঝড় তুলতে পারেন কি না, সেটা দেখার।
কেএল রাহুল (দিল্লি ক্যাপিটালস- ১৪ কোটি)
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ভরসা দিয়েছেন। ফিনিশারের দায়িত্ব পালন করেছেন। করেছেন ১৩৬ রান। তবে গত আইপিএল একেবারেই ভালো কাটেনি। শেষের দিকে বিতর্কও সঙ্গী হয়েছে। সব মিলিয়ে আইপিএলে 'ফ্রেশ স্টার্ট' লাগবে রাহুলের। ১৪ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে কিনেছে দিল্লি। কাঁধে নেতৃত্বর দায়িত্বও নেই। অনেক খোলা মনে খেলতে পারবেন। তবে স্ট্রাইক রেট নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।