shono
Advertisement
Chetan Sakariya

দুর্ঘটনায় অকেজো 'বোলিং আর্ম', চেতনকে মাঠে ফিরিয়ে ‘পুনর্জন্ম’ দিলেন কেকেআরের অরুণ

গতবার নাইট জার্সিতেই খেলেছিলেন চেতন।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 03:28 PM Mar 13, 2025Updated: 03:28 PM Mar 13, 2025

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: ভারতীয় ক্রিকেটের অরণ‌্যপ্রবাদ হল, আইপিএল প্রতিভার জন্ম দেয়। তাকে লালন-পালন করে। শেষে তাকে তৈরি করে দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন‌্য। কোথাও গিয়ে মনে হচ্ছে, সে অরণ‌্যপ্রবাদে আরও গোটা কতক লাইন সংযোজনের প্রয়োজন হয়েছে। আইপিএল এখন শুধুই প্রতিভার ধাত্রীগৃহ নয়। আইপিএল এখন প্রতিভাকে নিঃশেষ অবস্থা থেকে হাতে ধরে ফিরিয়েও আনে। ফিরিয়ে এনে, পুনরায় সুযোগের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। যে সুযোগ, পায়ের তলায় জমি ফিরে পাওয়ার। যে সুযোগ, ক্রিকেট নামক জীবনে ফিরে আসার।

Advertisement

বিশ্বাস না হলে, চেতন সাকারিয়াকে দেখুন। পড়ে দেখুন, কেকেআর বাঁ হাতি সৌরাষ্ট্র পেসারের জন‌্য কী কী করেছে? কী কী করল? গতবার নাইট জার্সিতেই খেলেছিলেন চেতন। কিন্তু এবারের নিলামে দল পাননি। পাননি রাজ‌্য দলে ডাক। পাওয়া সম্ভবও ছিল না। কারণ, এক দুর্ঘটনায় তাঁর ‘বোলিং আর্ম’ অর্থাৎ কি না বাঁ হাত অকেজো হতে বসেছিল! হাত নাড়াতে পারতেন না। জাতীয় ক্রিকেট অ‌্যাকাডেমিতে পড়ে থাকতে হয়েছিল দিনের পর দিন। শোনা গেল, জাতীয় ক্রিকেট অ‌্যাকাডেমি থেকেই চেতনকে এক ডাক্তারের কাছে শেষে পাঠানো হয়। তাঁর তত্বাবধানে বল ফের হাতে চেতন তুলে নেন বটে, কিন্তু পেস চলে গিয়েছিল। রাজ‌্য দলে আর ডাক পেতেন না। আইপিএলেও কোনও টিম পাননি তিনি। এবং কেকেআরের বোলিং কোচ ভরত অরুণ না থাকলে হয়তো বা ক্রিকেটের মূলস্রোতে তাঁর প্রত‌্যাবর্তন আরও বিলম্বিত হয়ে যেত।.

কী করেছিলেন ভরত? ভারতীয় ক্রিকেটে ভরত বরাবরই সম্মাননীয় চরিত্র। বর্তমান যে দুর্ধর্ষ ভারতীয় পেস ব‌্যাটারি পৃথিবী কাঁপাচ্ছে, তার রূপকার তিনি। শোনা গেল, ডাক্তার-বদ‌্যির পর্ব মিটিয়ে মাঠে ফেরার পর চেতনকে নাইট বোলিং কোচ নাকি আবিষ্কার করেন ডিওয়াই পাটিল টি-টোয়েন্টি লিগে। সেখানে বাঁ হাতি পেসারের অবস্থা জানতে চান। চেতন নাকি তখন তাঁকে বলেন যে, আগের চেয়ে হাতের অবস্থা তাঁর অনেক ভালো। পুরনো গতিও অনেকাংশে ফিরে এসেছে। ভরতই তখন চেতনকে বলেন, কেকেআর শিবিরে যোগ দিতে। নেট বোলার হিসেবে। যা তাঁকে তৈরি করে দেবে আগামী আইপিএলের জন‌্য!

কেকেআরের একটা চিরকালের পরম্পরা রয়েছে যে, ক্রিকেটার অসুবিধেয় পড়লে কখনও তার হাত সোনালি-বেগুনি ছেড়ে দেয় না। যার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ, সুনীল নারিন। ক‌্যারিবিয়ান রহস‌্য স্পিনারের অ‌্যাকশন সংক্রান্ত সমস‌্যা কাটিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে এনেছিল কেকেআর। চেতনের সঙ্গেও তা হল। শোনা গেল, ভরত মনে করেছিলেন যে, চেতন যত বেশি কেকেআর ছাউনিতে থাকবেন, তত বেশি সড়গড় হবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে। এক বছর ক্রিকেট যে খেলতে পারেননি তিনি! মনে করেছিলেন, ছুটকো-ছাটকা টি-টোয়েন্টি লিগ না খেলে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির শিবিরে দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের বোলিং করলে, চেতনের উপকার হবে অনেক বেশি। পরের আইপিএলের জন‌্য অনেক বেশি করে ‘ওয়ার রেডি’ হয়ে যাবেন। টিমও পেয়ে যেতে পারেন তখন। কারা বলে, আইপিএল শুধুই কোটি কোটি টাকার লিগ? কারা বলে, আইপিএল নিছকই আপাদমস্তক ক্রিকেট-বিত্তের আসর? আইপিএল মাঝে মাঝেই মন ভালো করা গল্প লেখে, যার বিষয়ের নাম মানবিকতা!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জাতীয় ক্রিকেট অ‌্যাকাডেমি থেকেই চেতনকে এক ডাক্তারের কাছে শেষে পাঠানো হয়।
  • চেতনকে নাইট বোলিং কোচ নাকি আবিষ্কার করেন ডিওয়াই পাটিল টি-টোয়েন্টি লিগে।
  • কেকেআরের একটা চিরকালের পরম্পরা রয়েছে যে, ক্রিকেটার অসুবিধেয় পড়লে কখনও তার হাত সোনালি-বেগুনি ছেড়ে দেয় না।
Advertisement