সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেকের পর আইপিএলে কপাল খুলে যেতে চলেছে ভারতীয় পেসার ময়ঙ্ক যাদবের। তাঁকে এবার দলে ধরে রাখতে হলে, ন্যূনতম এগারো কোটি টাকা দিতে হবে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। ঠিক একই রকম ভাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যদি নীতীশ রেড্ডিকে ধরে রাখতে চায়, তা হলে তাদেরও দিতে হবে এগারো কোটি টাকা! কারণ, নীতীশ ও ময়ঙ্ক দু’জনেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলার পর রাতারাতি ‘ক্যাপড প্লেয়ার’-এর তালিকায় চলে এসেছেন।
আইপিএল রিটেনশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ‘আনক্যাপড’ ক্রিকেটার যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেন, তা হলে তাঁরা ‘ক্যাপড’ প্লেয়ার হয়ে যাবেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর ময়ঙ্ক এবং নীতীশ যা হয়ে গিয়েছেন। রিটেনশনের নিয়ম অনুয়ায়ী, প্রথম পাঁচ ক্যাপড প্লেয়ারকে ধরে রাখার খরচ এ রকম: ১৮ কোটি, ১৪ কোটি, ১১ কোটি, ১৮ কোটি এবং ১৪ কোটি। যার অর্থ মায়াঙ্ককে ধরে রাখতে গেলে লখনউকে ন্যূনতম এগারো কোটি টাকা দিতে হবে। আগামী ৩১ অক্টোবর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর রিটেনশন তালিকা জমা করার শেষ দিন। ধরে রাখা হচ্ছে, লখনউ চাইবে মায়াঙ্ককে ধরে রাখতে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ভারতীয় দলের দুই তরুণ তুর্কির। ২২ বছরের ময়ঙ্ক এবং ২১ বছরে নীতীশের মাথায় উঠে জাতীয় দলের ক্যাপ। প্রসঙ্গত, ৮ বছর পরে এই প্রথমবার একসঙ্গে ভারতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হল অনূর্ধ্ব-২৩ দুই ক্রিকেটারের। শেষবার এমনটা দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে যখন হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং জশপ্রীত বুমরাহ একসঙ্গে আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন। গত মরশুমে আইপিএলে ব্যাটে-বলে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছিলেন দুই তারকাই।