আলাপন সাহা, দুবাই: ফাইনাল-যুদ্ধের আগে নিউজিল্যান্ড একটা ব্যাপার ভালোভাবে বুঝে গিয়েছে-ভারত চার স্পিনারের সামনেই ফেলবে তাদের। ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে মিচেল স্যান্টনারের টিম সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছে একজনকে নিয়ে-বরুণ চক্রবর্তী।
গ্রুপ লিগে বরুণ একাই ধ্বংস করে দেন কিউয়ি ব্যাটিংকে। পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। ফাইনালের আগে সেই দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে। বিশেষ করে বরুণের 'আর্ম' বল নিয়ে প্রবল চিন্তায় রয়েছে তারা। ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য বরুণ নিজেকে আলাদাভাবে তৈরি করেছেন। নিজের বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র নিয়ে এসেছেন। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক স্যান্টনার বলছিলেন, "বরুণ রহস্য স্পিনার। তার উপর গ্রুপের ম্যাচে প্রথমবার আমাদের অনেক ব্যাটার বরুণের বিরুদ্ধে খেলেছিল। আশা করি ওই ম্যাচ থেকে ওরা অনেক কিছু শিখেছে। ফাইনালের পিচও একইরকম লাগছে। স্পিনাররা সাহায্য পাবে।"
রবিবারের মহাযুদ্ধের আগে বরুণ-রহস্য উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। লাহোর থেকে সেমিফাইনাল খেলে আসার পর টিমকে দু'দিন ছুটি দেওয়া হয়েছিল। শোনা গেল, হোটেলে বসে এই দু'দিন প্রচুর ভিডিও ফুটেজ দেখেছে নিউজিল্যান্ড টিম। ব্যাটারদের বারবার করে বরুণের বোলিং ভিডিও দেখানো হয়। যাতে ফাইনালে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়। কিন্তু তাতেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে কোথায় নিউজিল্যান্ড? স্যান্টনার বলছিলেন, "বরুণের আর্ম বলটা মারাত্মক। আমি যেটায় আগের দিন আউট হয়েছিলাম। ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার গতিতে করে। ওটা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের। জানি ফাইনালেও একইরকম চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে আমাদের। তবে তার আগে নিজেদের যতটা সম্ভব তৈরি করে নেওয়ার চেষ্টা করছি।"
তবে একইসঙ্গে ফাইনালের আগে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করছেন স্যান্টনার। দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি আইসিসি ইভেন্টে চোকার্সের তকমা সেঁটে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। বড় ইভেন্টের সেমিফাইনাল-ফাইনালে উঠলেও ট্রফি অধরা থেকেছে। বিশেষ করে সাদা-বলের টুর্নামেন্টে। এবার ব্যাপারটা বদলাতে মরিয়া কেন উইলিয়ামসনরা। স্যান্টনার বলেন, "আমরা এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনালে আরও ভালো খেলতে হবে আমাদের। জানি এই ম্যাচটার গুরুত্ব কতটা। বিশাল ম্যাচ। তবে আমরা যতটা সম্ভব ড্রেসিংরুম শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি যাতে সবাই রিল্যাক্সড থাকে। কোনও বাড়তি চাপ আমরা নিতে চাই না। সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে, মাঠে নেমে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলো। আর ফাইনাল উপভোগ করো।"
