রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: গতবার তাঁর নেতৃত্বেই আইপিএল ট্রফি এসেছিল কলকাতার ড্রেসিংরুমে। কিন্তু আগামী মরশুমে বদলে যেতে পারে সেই শ্রেয়স আইয়ারের ঠিকানা। হ্যাঁ, কেকেআর সমর্থকদের কাছে বিষয়টা মনখারাপের হলেও, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই প্রকট। শোনা যাচ্ছে, শ্রেয়সের কাছে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির মোটা অঙ্কের অফার রয়েছে। আর সেই কারণেই নাকি কিং খানের দলকে আলবিদা জানাতে পারেন তিনি।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মেগা নিলামের আগে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিজেদের রিটেনশন তালিকা জমা দিতে হবে। সেই তালিকায় শ্রেয়সকে হয়তো রাখবে না কেকেআর। কারণ শ্রেয়সকে ধরে রাখতে মোটা টাকা খরচ করতে হবে দলকে। যা তারা চাইছে না। তবে যা খবর, আগামী মরশুমে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন এবং রিঙ্কু সিংকে রেখে দেবে কলকাতা। পাশাপাশি আনক্যাপড রমনদীপ সিং ও হর্ষিত রানাকেও রিটেন করা হতে পারে। তবে বরুণ চক্রবর্তীকে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
সূত্রের খবর, আইপিএল জয়ী ক্যাপ্টেন শ্রেয়সকে দলে নিতে নাকি ঝাঁপাতে পারে পাঞ্জাব কিংস এবং আরসিবি। কারণ দুটি দলই নতুন মরশুমে নতুন অধিনায়কের খোঁজে রয়েছে। শ্রেয়সের জন্য তারা বড় দর হাঁকতেও রাজি! শ্রেয়সেরও নাকি কলকাতাকে বিদায় জানিয়ে অন্য কোনও দলের জার্সি গায়ে চাপাতে তেমন আপত্তি নেই। অর্থাৎ ২০২৫ সালের আইপিএলে যে কেকেআর নতুন কোনও অধিনায়কের নেতৃত্বেই মাঠে নামবে, তা একপ্রকার বলে দেওয়াই যায়।
কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, শাহরুখের দলের নয়া নেতা হওয়ার দৌড়ে কে এগিয়ে? শোনা যাচ্ছে, কেকেআরের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ঋষভ পন্থ। দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে ছেড়ে দিতে চলেছে। ফলে নিলামে উঠবে পন্থের নাম। তবে পন্থকে পেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে নাইট শিবিরকে। কারণ চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও পন্থকে পেতে মরিয়া। তারকা উইকেটকিপারকে ধোনির উত্তরসূরি হিসেবে চাইছে সিএসকে। আর নতুন ক্যাপ্টেনের খোঁজে আরসিবি। সব মিলিয়ে হাইভোল্টেজ নিলামের দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।