সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কেন পাকিস্তানের কাউকে ডাকা হয়নি? এই নিয়ে সরাসরি আইসিসি-র কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল পিসিবি। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খেল তারা। আলাদা করে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হবে না, জানিয়ে দিল আইসিসি। তবে তাদের সূত্র মারফৎ পাক বোর্ডকে কার্যত 'নিয়ম' শেখানো হচ্ছে।
আসলে নামেই আয়োজক। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে পাকিস্তানের ভূমিকা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেটা পরিকাঠামো হোক বা ম্যাচ আয়োজন। নিরাপত্তা জনিত কারণে পাকভূমে যায়নি ভারত। রোহিতরা ম্যাচ খেলেছেন দুবাইয়ে। এমনকী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও পাক বোর্ডের প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। পিসিবি-র সভাপতি মহসিন নকভি না থাকলেও রবিবার নাকি দুবাইয়ে হাজির ছিলেন তাদের প্রতিনিধি। অথচ তারপরও কেন পাক বোর্ডের সিইও সুমের আহমেদকে মঞ্চে ডাকা হয়নি, সেই নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল তারা।
কিন্তু আইসিসি-র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আলাদা করে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হবে না। যা তাদের জন্য একপ্রকার ধাক্কা। বরং আইসিসি-র এক সূত্র পাকিস্তানকে নিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করছেন। সূত্র মারফৎ বলা হচ্ছে, "পাক বোর্ড যদি দেখে, তাহলে খেয়াল করবে আইসিসি-র সিও জিওফ আলারডাইসও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না। এটাই আসল নিয়ম।"
সেই সঙ্গে ওই সূত্র বলছেন, "সুমের আহমেদ তো পিসিবি-র একজন কর্মচারী। কোনও আধিকারিকও নন। ভালো করে দেখুন, কোনও টুর্নামেন্টের প্রধান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে কিনা। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। গৌরব সাক্সেনা একসময় এশিয়া কাপের ডিরেক্টর ছিলেন। কিন্তু তিনি কি ওই ফাইনালের পর মঞ্চে ছিলেন?" উল্লেখ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর যাবতীয় পুরস্কার তুলে দেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি। উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। আয়োজক হয়েও পাকিস্তানের কেউ ছিলেনই না। ফলে টুর্নামেন্ট আয়োজনে যেমন তারা কুশলতার পরিচয় দিতে পারেনি, পরে আইসিসি-র কাছে ব্যাখ্যা চেয়েও লাভের লাভ হল না।
