সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ভুগিয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। আবার বোলিংও যে আশার আলো দেখিয়েছে, তা নয়। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হার 'দুর্ঘটনা' মনে হতেই পারে। কিন্তু লক্ষ্যটা আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটা মাথায় রেখে ধরমশালার ম্যাচে কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ? কুলদীপ যাদবকে কি খেলানো হবে? সঞ্জু কি সুযোগ পাবেন?
আরও একটি বিষয় হল শুভমান গিলের ফর্ম। দিনের পর দিন ব্যর্থ হলেও নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন। দেড়বছর হয়ে গেল টি-টোয়েন্টিতে গিলের ব্যাট থেকে হাফসেঞ্চুরি আসেনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়কের নামের পাশে মাত্র ৪ এবং ০। অথচ গিলের জন্য ওপেনিংয়ের জায়গা হারাতে হয়েছে সঞ্জু স্যামসনকে। সেক্ষেত্রে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিচের সারিতে ব্যাট করতে নামতে হয় সঞ্জুকে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দল থেকে সটান বাদ দিয়ে দেওয়া হয় সঞ্জুকে। তাঁর জায়গায় উইকেটকিপিং করেন জিতেশ শর্মা।
মুল্লানপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতেশ ১৭ বলে ২৭ রান করেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। কঠিন পরিস্থিতিতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। তাহলে কি সঞ্জুকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে? ধরমশালায় সেই সম্ভাবনা কিন্তু কম। বিশ্বকাপে সম্ভবত জিতেশকেই 'ফিনিশার'-এর ভূমিকায় দেখা হবে।
গম্ভীরের জন্য চিন্তার শেষ নেই। সূর্যকুমার যাদব ফর্মের ধারেকাছে নেই। অন্যদিকে শিবম দুবেকে নিয়ে কী করা হবে, তা যেন বুঝেই উঠতে পারছেন না। তাঁকে নামানো হচ্ছে ৭ বা ৮ নম্বরে। ব্যাট হাতে রান পাননি। দু'ম্যাচে ৩ ওভারও বল করেননি। তাহলে কেন শুধু অলরাউন্ডার বলে খেলানো হচ্ছে দুবেকে? ধরমশালায় বৃষ্টির হালকা সম্ভাবনা আছে। আগের ম্যাচে অর্শদীপ সিং বা জশপ্রীত বুমরাহ, সাফল্য পাননি। সেক্ষেত্রে কি কুলদীপকে খেলানো হবে? বিশ্বকাপে বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে তিনি থাকলে আরও শক্তিশালী হবে ভারতের স্পিন বোলিং।
