সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’-র তাণ্ডবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ প্রবল ঝড় এবং বৃষ্টির দাপটে তছনছ নাগাপট্টিনাম, তিরুভারুর এবং তাঞ্জাভোর৷ শনিবার সকাল পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে৷ ঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছে একাধিক কাঁচাবাড়ি৷ কোথাও কোথাও ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি৷ তার জেরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা৷
[আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’, তামিলনাড়ুতে মৃত অন্তত ১৩]
পাঁচ দিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল এই ঘূর্ণিঝড়৷ সমুদ্রের জলীয় বাষ্প শোষণ করায় সেটি আয়তনে বাড়ছিল ধীরে ধীরে৷ বৃহস্পতিবার শক্তি বৃদ্ধি পায় ‘গাজা’-র৷ শুক্রবার কাকভোরে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলে মুষলধারে বৃষ্টি। তার প্রভাবেই তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সাতটি জেলার উপকূল অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি, মাটির বাড়ি এবং বড় গাছ। শনিবার সকাল পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে।
[কংগ্রেসের অন্দরে তীব্র অসন্তোষ, রাহুলের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মীদের]
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কুড্ডালোর, নাগাপট্টিনম, পুডুকোট্টাই, তাঞ্জাভোর, রামনাথপুরম ও তিরুভারুর জেলায় ৪৭৭টি শিবির তৈরি রাখা হয়েছিল। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকা থেকে অন্তত ৮৩ হাজার মানুষকে উঁচু জায়গায় শিবিরগুলিতে সরিয়ে নেয়। ‘গাজা’ বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ৷ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ‘গাজা’-র তাণ্ডবে আতঙ্কিত মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷ রাজ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন পালানিস্বামী৷
[অপহরণ করে নিরীহ নাগরিককে হত্যা, জঙ্গি কার্যকলাপে উত্তপ্ত উপত্যকা]
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ বিলির কাজ শুরু করেছেন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। এছাড়া নিহত, আহত ও ঝড়ের তাণ্ডবে জখমদের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পালানিস্বামী৷ মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ ও সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে বলেই আশ্বাস তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর।
The post ‘গাজা’-র দাপটে তছনছ তামিলনাড়ু, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা appeared first on Sangbad Pratidin.