পারমিতা পাল: মুখ্যমন্ত্রী নিজে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন। তাতেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ ডিএ আন্দোলনকারীরা। এবার নিজেদের দাবিতে দিল্লিতে ধরনার ডাক দিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পাশাপাশি মমতার ‘চোর-ডাকাত’ কটাক্ষের প্রতিবাদে ৬ এপ্রিল ফের কর্মবিরতির ডাক দিলেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার পথে নামবেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার আন্দোলন মঞ্চ গিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, কৌস্তভ বাগচীরা।
বিভিন্ন খাতে খরচ হলেও বকেয়া ডিএ দিচ্ছে না রাজ্য। এই অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব সরকারি কর্মীরা। জল আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাফ জানিয়েছেন, দাবি পূরণ সম্ভব নয়। এরপরই ধরনার পথে হেঁটেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যা মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না সরকার। বুধবার রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের চোর-ডাকাত বলে কটাক্ষ করেছিলেন। অভিযোগ করেন, আন্দোলনকারীরা নাকি সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন। এরই পালটা দিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি হাতে রাজধানী অভিযানের ডাক! মমতার মুখে নেতাজির ‘দিল্লি চলো’]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “আমাদের আন্দোলনের তীব্রতা দেখে ওনার মাথার ঠিক নেই। তাই যা খুশি তাই বলছেন। সুপারিশে কাদের চাকরি হয়েছে সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন শহিদ মিনার চত্বর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন মহম্মদ সেলিম। বলেন, “একটা পরীক্ষা হবে না যদি না বাম আমলের লোকেরা কাজ না করেন। উনি তো চোরেদের নেত্রী। যাঁরা আমাদের রাজ্যের সম্পদ নষ্ট করছে উনি তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।” পাশে থাকার আশ্বাস দেন আন্দোলনকারীদের। একইভাবে কৌস্তভের গলাতেও একই সুর। মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজিরভাবে কটাক্ষ করেছেন তিনিও। এদিকে আন্দোলনকারীদের দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।