shono
Advertisement

রাতারাতি অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকা, ৪ বছর বাদে ব্যাংকে গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া শ্রমিকের

গত কয়েকদিনে এমন একাধিক ঘটনা বিহারে ঘটেছে।
Posted: 08:57 PM Sep 24, 2021Updated: 08:57 PM Sep 24, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জব কার্ড করাতে ব্যাংকে গিয়েছিলেন বিহারের দিনমজুর। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে চক্ষুজোড়া চড়ক গাছে ওঠার উপক্রম হয় তাঁর। রোজকার খাবার জোগাড় করতে যাঁর মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টে নাকি জমা রয়েছে ৯ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা!

Advertisement

বিহারে ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সুপল এলাকার শাখায় ঘটেছে এই ঘটনা। ওই এলাকার বাসিন্দা বিপিন চৌহান। দিন আনি দিন খাইয়ের সংসার বিপিনের। সারাদিনের খাটনির পর যা হাতে পান, তাই দিয়ে কোনওমতে দু’বেলার খাবার জুটে যায়। একটু ভালভাবে যাতে আয় করতে পারেন তার জন্য জব কার্ড করাতে ব্যাংকে গিয়েছিলেন বিপিন। সেখানে তাঁর আধার কার্ড নম্বর জমা দেন।

[আরও পড়ুন: কোভিড বিধি ভঙ্গ করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজেই! ত্রিপুরার মুখ্যসচিবকে চিঠি তৃণমূলের]

২০১৬ সালে অ্যাকাউন্টটি খুলেছিলেন দিনমজুর। প্রায় চার বছর পর জবকার্ড করাতে গিয়েছিলেন তিনি। বিপিনের দেওয়া নম্বর দিয়ে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে অবাক হয়ে যান ব্যাংকের কর্মী। দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে ছিল ৯ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ব্যাংকের ম্যানেজারকে জানান ওই কর্মী। ম্যানেজার বিপিনকে ডেকে একথা বলেন। এত টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে কীভাবে এল, কোনও ধারণা নেই দিনমজুরের। একথা শোনার পরই তাঁর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেন ম্যানেজার। কোথা থেকে এত টাকা এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিপিন প্রথম নয়, এমন একাধিক ঘটনা বিহারে ঘটেছে। কিছুদিন আগে বিহারের এক বয়স্ক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ৫২ কোটি থাকা জমার খবর শোনা যায়। রাম বাহাদুর শাহ নামের ওই ব্যক্তি বিহারের কাটরা থানা এলাকার বাসিন্দা। কাটিহার এলাকায় আবার ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র আশিস কুমার ও গুরুচরণ বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে ৬ কোটি ও ৯ কোটি টাকার জমা হওয়ার হদিশ পাওয়া যায়। কীভাবে বিহারের এই বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে এত টাকা জমা হচ্ছে? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: কাটতে গিয়ে দফারফা চুল! স্যাঁলোর থেকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি মডেলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement