সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া খাবার প্যাক করে দিতে বলেছিলেন হোটেলের কর্মীকে। কিন্তু বুঝতে পারেননি, এই ‘অপরাধে’ জীবনটাই হারাতে হবে তাঁকে। খাবার নিয়ে কথা বলায় গুজরাটে পিটিয়ে খুন করা হল এক দলিত ব্যক্তিকে।
দিন কয়েক আগেই এক দলিত যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল মোদির রাজ্যে। ভাল পোশাক পরায় সেই যুবককে মারধর করা হয়েছিল। আবারও গুজরাটে দলিতকে পিটুনির খবর উঠে এল শিরোনামে। সে রাজ্যের খানপুর তালুকে। গত ৭ মে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। হোটেল মালিক এবং কর্মীদের হাতে বেধড়ক মার খাওয়ার পর গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন রাজু ভঙ্কর নামে ওই ব্যক্তি। আজ, শনিবার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
[আরও পড়ুন: এই নিয়মগুলি না মানলেই বিপদ! চাকরি যাবে সরকারি বাসচালক-কনডাক্টরের, জরিমানা যাত্রীকেও]
গত ৭ জুন পেশায় অটোচালক রাজু হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন। খাওয়ার পর কিছু খাবার প্যাক করে দিতে বলেন তিনি। খাবার কেন কম দেওয়া হয়েছে, তার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর সেই নিয়েই হোটেল মালিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। অভিযোগ, এর পরই রাজুকে জাতপাত তুলে গালিগালাজ করতে থাকেন হোটেলের মালিক। রাজু প্রতিবাদ করলে প্রথমে হুমকি ও পরে বেধড়ক মারধর করা হয়।
দলিত ব্যক্তির মৃত্যুতে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী। তিনি জানান, দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত দলিত ব্যক্তির দেহ নেবে না তাঁর পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।