মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: একটা দুর্ঘটনা (Odisha Accident) কেড়ে নিয়েছে ৬ জনকে। হাসতে হাসতে বেড়াতে যাওয়া প্রিয়জনেরা যে এভাবে ফিরবে তা ভাবতেও পারেননি কেউ। বৃহস্পতিবার সকালে দেহ গ্রামে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল গ্রাম। চোখের জলে প্রিয়জনদের দাহ করল হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Uluberia) বাসিন্দারা।
গত মঙ্গলবার মাঝরাতে দারিংবাড়ি থেকে ভাইজ্যাগ যাওয়ার পথে ভঞ্জনগরে উদয়নারায়ণপুরের পর্যটকদের একটি বাস উলটে যায়। মৃত্যু হয় ৬ জনের। তার মধ্যে পাঁচজন উদয়নারায়ণপুরের এবং একজন হুগলি জাঙ্গিপাড়া এলাকার। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ উদয়নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছয় ছয় পর্যটকের দেহ। উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসক শমীক কুমার ঘোষ, উদয়নারায়ণপুরের বিডিও প্রবীরকুমার সিট-সহ প্রশাসনের কর্তারা সেখানে ছিলেন। একটি দেহ নিয়ে চলে যাওয়া হয় জাঙ্গিপাড়া। দেহ এলাকায় পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। সকাল আটটা নাাগদ দাহ করা হয়েছে মৃতদেহ।
[আরও পড়ুন: ‘পরিবারতান্ত্রিক দল শুধু ক্ষতিকারক নয়, বিপজ্জনকও’, কেসিআর দুর্গে দাঁড়িয়ে খোঁচা মোদির]
মৃতদেহ হাওড়া পৌঁছনোর প্রায় চার ঘণ্টা পর বাসে আহতরা ফেরেন। তাঁদের প্রথমে উদয়নারায়নপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। তারপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। ঘরে ফিরলেও আহতদের চোখে মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট। কথা বলার ইচ্ছেটুকুও নেই তাঁদের। যেন কিছুতেই তাঁরা ভুলতে পারছে না ফেলে আসা মুহুর্তগুলো।
এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, এলাকার প্রত্যেক বাড়িতে কেউ না কেউ আহত। কে কাকে সান্ত্বনা দেবে! তাই চেষ্টা করা হচ্ছে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর। জানা গিয়েছে, এখনও প্রায় কুড়ি জন ওড়িশায় হাসপাতালে ভরতি। কিন্তু কার কেমন অবস্থা, সেটা নিয়েও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না এখানকার লোকেরা। ফলে এখনও উৎকণ্ঠা তাদের সঙ্গী। এদিকে বাসস্ট্যান্ডে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের তদারকি করার সময় উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদয়নারায়নপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বিধায়কের উচ্চ রক্তচাপের কারণে সমস্যা হয়েছিল। এখন উনি সুস্থ আছেন। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।