অর্ণব আইচ: পুজো বলে কথা! জেলে জঙ্গি নেতার জন্য বাটা মাছের কালিয়া আর পাঁঠার মাংসা রান্না করা হবে। তবে শুধু আফতাবই নয়, প্রেডিডেন্সি জেলের অন্য বন্দিদের পাতেও পড়বে ভালমন্দ খাবার। আফতাবের বিশেষ সেলে এই খাবার পৌঁছে দেবেন এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। যদিও নিরাপত্তার খাতিরে পুজোর সময় এক কারারক্ষীকে দিয়ে সেই ‘স্পেশাল ডিশ’ পরীক্ষা করেই সেলের ভিতর তা পাঠানো হবে। পুজোর আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বা দমদম সেন্ট্রাল জেলের বন্দিদের পাতেও রুই অথবা কাতলা মাছের কালিয়া খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে কারা দপ্তর। তবে নবমীর দিন দুপুরে মেনু হিসাবে খাসির মাংস থাকছেই।
[২০ দিনেই মাঝেরহাটে তৈরি বিকল্প রাস্তা, আজ খুলছে ব্রেইল সেতু]
পুজো হয় চার দেওয়ালের ঘেরাটোপেও। পুজোর দিনগুলিতে জেলের ভিতর জাত, ধর্ম নির্বিশেষে আনন্দে মেতে ওঠেন বন্দিরা। তাদের জন্য থাকে ভালমন্দ খাবারও। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে সপ্তমীর দুপুরে থাকছে মাছের কালিয়া, রাতে থাকছে ডিমের কালিয়া। অষ্টমীর সকালে থাকছে লুচি আর পায়েস। সেদিন তিনটি জেলের মেনুতেই নিরামিষ। আলিপুরে দুপুরে থাকছে নিরামিষ খিচুড়ি। সঙ্গে ভাজা। রাতে ফ্রায়েড রাইস ও আলুর দম। তবে নবমীতে দুপুরের মেনুতে অবশ্যই থাকবে খাসির মাংস। সঙ্গে থাকছে পোলাও। রাতে ডাল ও পাঁচমিশালি তরকারি। দশমীতে থাকছে শুক্তো, মুগের ডাল, মাছের কালিয়া। রাতের মেনুতে থাকছে ডিমের কালিয়া।
[বাগরি মার্কেটে ফের আগুন আতঙ্ক, ঘটনাস্থলে দমকল]
প্রেসিডেন্সি জেলের মেনুও একই রকমের। কিন্তু এই বছর বন্দিদের আবদার, তাদের পাতে যেন বাটা মাছের কালিয়া পড়ে। তাই এবার আফতাব আনসারি বা মাওবাদী বন্দিদের পাতে পড়বে এই পদটি। দমদম সেন্ট্রাল জেলে মহালয়া থেকেই কোনওদিন বন্দিদের পাতে পড়ছে সুস্বাদু ঘুগনি। আবার কোনওদিন চিঁড়ের পোলাও। এই বছর এই জেলের বন্দিদের জন্য মাছের কালিয়া, খাসির মাংস ছাড়াও এক বেলার জন্য থাকছে চিকেন কষা। এ ছাড়াও কখনও লাঞ্চ আবার কখনও ডিনারে বন্দিদের পাতে পড়বে ছোলার ডাল, ডিম তড়কা বা মাছের মাথা দিয়ে সবজি। সঙ্গে থাকছে অমৃতি বা রসগোল্লার মতো ‘সুইট ডিশ’ও। তিনটি জেলের ক্যান্টিনে সারা বছরই সুস্বাদু খাবার মেলে। তবে পুজোর সময় ক্যান্টিনগুলিতে বন্দিদের জন্য আরও বিশেষ কিছু পদ ও মিষ্টি আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কারা দপ্তর।
The post জেলে আফতাবের জন্য এলাহি আয়োজন, মেনুতে থাকবে মাছ ও পাঁঠার মাংস appeared first on Sangbad Pratidin.