সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পঞ্চায়েত অফিস থেকে নয়, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে। এই দাবি না মানায় মহিলা পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পঞ্চায়েত উপপ্রধান। ঘটনাটি কাঁকসা (Kanksa) থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামুনারা এলাকার।
তৃণমূল পরিচালিত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শম্পা পালের কথায়, “স্বাস্থ্যসাথীর ছবি তোলার কাজ শুরু হচ্ছে এলাকায়। প্রধানের নির্দেশমাফিক ছবি তোলার কুপন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত অফিস থেকে। কিছু টোকেন আমি ঘর থেকে দিচ্ছিলাম যাঁরা সময়মতো কাজের সময়ে পঞ্চায়েত অফিস যেতে পারছেন না, তাঁদের জন্যে।” অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বাপ্পা গোস্বামী, সজল রায়-সহ আরও বেশ কিছু কর্মী এসে তাঁর কাছে দাবি জানায় দলীয় কার্যালয় থেকে দিতে হবে কুপন। কিন্তু সরকারি কাজ অফিস থেকেই হওয়া উচিত একথা বলার পর দলবল নিয়ে এসে এই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তার বাড়িতে চড়াও হয়। সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে। এমনকী তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শম্পা পাল। এই উন্মত্ত বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাননি তৃণমূল কংগ্রেসের বামুনারা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বিকাশ রায়ও। তাঁর বাড়িতে গিয়েও অভিযুক্তরা হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাষের জমিতে উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস, জখম কমপক্ষে ২৫ জন]
ইতিমধ্যেই উপপ্রধান শম্পা পাল কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছেন বলে খবর। কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবদাস বক্সি বলেন, “অভিযোগ অনুযায়ী পুলিশ কাজ করুক।” বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই জানান, “এতদিন এই রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে আমরা যা যা কথা বলেছি, অভিযোগ করেছি, আজ সেই কথাগুলো সত্যি হচ্ছে।” কাঁকসা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।