সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূরত্বটা কম নয়! পাক্কা ১৭ কিলোমিটার! কিন্তু, তার চেয়েও বড় এক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সীমান্তে রোগী দেখতে যাওয়ার। যে কোনও মুহূর্তে ছুটে আসতে পারে পাক সেনার গুলি! কিন্তু কোনও প্রতিবন্ধকতাকেই ধর্তব্যের মধ্যে আনেন না সরবজিৎ কৌর।
জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের এই মহিলা ডাক্তারের বাড়ি অমৃতসরের কাছে এক গ্রামে। গ্রামের নাম নৌসেরা ঢালা। সেখান থেকে রোজ সকালে সীমান্তের দিকে রওনা দেন সরবজিৎ। সঙ্গে থাকে ওষুধের বাক্স, স্টেথো আর ফার্স্ট এড। সে সব সঙ্গে করে ১৭ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে এসে পৌঁছন তিনি। অতঃপর, সীমান্ত থেকে মোটামুটি ২০০ মিটার দূরেই শুরু হয় রোগী দেখার পালা! আজ পর্যন্ত সরবজিতের এই নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি। এমনকী, ভারত-পাক সম্পর্কের অবনমনের জেরে যখন সীমান্ত-লাগোয়া গ্রাম থেকে মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যেতে চাইছে সরকার, তখনও নয়!
আসলে, সরবজিৎ মনে করেন, এই সময়েই তাঁকে সীমান্তের মানুষদের আরও বেশি করে প্রয়োজন। তাই তিনি হাসিমুখে নিজের কাজ করে যান। আগে কাজ করতেন ৬ ঘণ্টা। এখন করেন ১০ ঘণ্টা। তবু কোনও অভিযোগ আজ পর্যন্ত তাঁকে প্রকাশ করতে দেখেননি কেউ!
এখনও পর্যন্ত অবশ্য গোলাগুলিতে আহত সীমান্তের মানুষের চিকিৎসার দায় নিতে হয়নি সরবজিৎকে। তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলেই তিনি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করবেন।
এক জীবন থেকে এভাবেই তো আনন্দধারা সঞ্চারিত হয় অন্য জীবনে!
প্রাণের তোয়াক্কা না করে সীমান্তে রোগী দেখেন এই মহিলা!
ভারত-পাক সম্পর্কের অবনমনের জেরে যে কোনও মুহূর্তে ছুটে আসতে পারে গুলি! কিন্তু ব্যাপারটাকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেন না সরবজিৎ কৌর!Posted: 07:47 PM Oct 04, 2016Updated: 02:17 PM Oct 04, 2016
Advertisement
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Advertisement