সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার তীব্র আপত্তি সত্বেও প্রথাগত অস্ত্রের আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা উঠল ইরানের (Iran) উপর থেকে। ইসলামিক দেশটির আণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা রুখতে প্রায় ১৩ বছর আগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)।
[আরও পড়ুন: ফের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার, এবার কি ককেশাসে ফিরবে শান্তি?]
অক্টোবরের ১৮ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এবার আন্তর্জাতিক আইন মতে মিসাইল, ট্যাংক, সামরিক হেলিকপ্টার বা অন্যান্য প্রথাগত (আণবিক নয়) যুদ্ধের হাতিয়ার আমদানি বা রপ্তানি করতে পারবে ইরান। এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইরানের বিদেশমন্ত্রক বলেছে,”এবার নিজেদের প্রতিরক্ষা মজবুত করতে যে কোনও জায়গা থেকে আমরা আইন মাফিক অস্ত্র কিনতে পারব। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এতে আর কোনও বাধা রইল না।” তবে ইরানের বিদেশমন্ত্রক এটা সাফ করে দেয় যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশ আত্মনির্ভর। তাই আণবিক অস্ত্র বা এমন গণহারে মৃত্যু ঘটাতে পারে এমন হাতিয়ার ক্রয় করার কোনও জায়গা নেই।
উল্লেখ্য, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিষেধাজ্ঞার জেরে নাজেহাল ইরান কিছুটা স্বস্তি পায় ২০১৫ সালে। ওই বছর আমেরিকার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে তেহরান। ওই চুক্তিতে আণবিক অস্ত্র নির্মাণের চেষ্টা পরিত্যাগ করার বদলে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হয় আন্তর্জাতিক মহল। Joint ‘Comprehensive Plan of Action’ (JCPOA) শীর্ষক ওই চুক্তির ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে ইরানের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ২০১৮ সালে তেহরানের বিরুদ্ধে আণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগে ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় আমেরিকা। তারপর বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রসংঘে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার চেষ্টা করে রুশ বিরোধিতায় বিফল হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।