ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছিল। চূড়ান্ত টানাপোড়েন শেষে শুক্রবার রাতে রাজভবন থেকে জানানো হয় শনিবার রাজভবনেই ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মল রায়ের শপথ। সূত্রের খবর, রাজভবন থেকে বিধায়ক নির্মল রায়কে সরাসরি ফোন করা হয়েছিল। রাজভবনে এসে শপথ নিতে তাঁর কোনও অসুবিধা আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। বারবার রাজভবনের উদ্যোগে একজনমাত্র বিধায়কের শপথ নিয়ে এমন জটিলতা কেন হবে প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই।
আরও প্রশ্ন, বিধানসভাকে এড়িয়ে কেন এমন পদক্ষেপ করতে চাইছে রাজভবন? শুক্রবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে বলেন, ‘‘পরিষদীয় রীতিনীতি এড়িয়ে এভাবে রাজভবনের কোনও পদক্ষেপ গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো দৃষ্টান্ত নয়।’’ যতটুকু জানা গিয়েছে, তাতে চলতি সপ্তাহে ওই বিধায়কের শপথ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় রাজভবন থেকে। শনিবার বিধানসভায় কাজ হয় না। পুরোপুরি বন্ধ থাকে। তা জানানোর পর রাজভবনে এসে বিধায়কের শপথ নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল রাজভবনে শপথ নেওয়াতে পারেন।
[আরও পড়ুন: বারো লাখি গাড়ি উপহার ‘বুলা’কে! দুর্নীতিতে ধৃত কনস্টেবলকে জেরা করে তাজ্জব তদন্তকারীরা]
কিন্তু বিধায়কের ক্ষেত্রে তেমন কোনও নজির নেই। যদিও এক্ষেত্রে রাজ্যপাল চাইলে নিজে যে কোনও বিধায়ককে শপথ নেওয়াতেই পারেন। তবে বিধানসভার তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, রাজ্যপাল চাইলে তিনিই শপথ নেওয়ান। কিন্তু তা বিধানসভায় এসেই নেওয়ান। বিধানসভার সচিবালয় থেকেও প্রকাশ্যে যদিও কিছু স্পষ্ট করে বলা হয়নি। অন্যদিকে নির্মল রায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।