সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেএনইউতে পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় একপ্রকার উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তাঁর মতে, “জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মারপিট হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। গোটা দেশেই বামপন্থীদের মার খাওয়ার সময় এসেছে। এটাই ওদের পাওনা।”
জেএনইউ (JNU campus attack) প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “কোনও ইউনিভার্সিটিতেই গন্ডগোল না হওয়া উচিত। তবে, জেএনইউ-তে মারপিট হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ওটা কাদের আখড়া সবাই জানে। সিপিএম আমলে কলেজে কলেজে এসএফআই দৌড় করে করে এবিভিপি ও তৃণমূলের লোকেদের মারতো। সিপিএম যাওয়ার পর তৃণমূল কলেজে কলেজে এবিভিপিকে মারছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যাদবপুরে মারধর করা হয়েছে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় ছিলেন? কোনও নিন্দা করেননি তো! এসব নাটক বন্ধ হোক। আর সারা দেশেই কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে। কমিউনিস্টদের মার খাওয়াটা পাওনা। তাঁরা যা ব্যবহার করেছে, তাতে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।”
[আরও পড়ুন: বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরাই দায়ী, JNU-এর গন্ডগোলে বিতর্কিত বিবৃতি রেজিস্ট্রারের]
রবিবার সন্ধেবেলা জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে অন্তত তিনটি গার্লস হস্টেলে হামলা চালায় মুখ ঢাকা ‘বহিরাগত’র দল। অভিযোগ, হস্টেল থেকেই ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে টানতে টানতে বাইরে বের করে দেওয়ালে মাথা ঠুকে ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাট, লাঠির ঘায়ে আহত অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন-সহ অন্তত ১৮ জন। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গোটা দেশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হামলাকে ‘ফ্যাসিস্ট হামলা’ বলে তোপ দেগেছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ”এটা ফ্যাসিস্ট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। জেএনইউ-তে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখে পরিকল্পনা করে তাণ্ডব চালিয়েছে বহিরাগতরা। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি।” বিরোধীরা তো বটেই, কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং এস জয়শংকরও এই হামলার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তবে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাঁটলেন অন্যপথে। তিনি ঘুরপথে জেএনইউয়ের পরিবেশ এবং বামপন্থীদের এই হামলার জন্য দায়ী করলেন।
The post ‘কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় এসেছে’, JNU ইস্যুতে দিলীপের মন্তব্যে বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.