সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব একটা ভাল নেই দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)। কিংবদন্তি অভিনেতার ৯৮তম জন্মদিনের আগে এমনটাই জানালেন তাঁর স্ত্রী তথা ছায়াসঙ্গী সায়রা বানু (Saira Banu)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে এই খবর।
ওই সংবাদমাধ্যমের কাছে নাকি সায়না বানু জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান অভিনেতার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম। ফলে শারীরিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ। উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শরীর বেশ দুর্বল। শোবার ঘর থেকে কোনওমতে হলঘর পর্যন্ত যেতে পারেন। তারপরই ফিরে আসেন। সকলকে কিংবদন্তি অভিনেতার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করার আবেদন জানান সায়রা বানু।
১৯২২ সালে অবিভক্ত ভারতের কিসসা খাওয়ানি বাজারের জমিদার তথা ব্যবসায়ী লালা গুলাম সারওয়ার খান ও আয়েশা বেগমের ঘরে জন্ম প্রবাদপ্রতীম শিল্পীর। জন্মসূত্রে তাঁর নাম মহম্মদ ইউসুফ খান। দিলীপ কুমারের প্রতিবেশী ছিলেন রাজ কাপুর। ছোটবেলা থেকেই দু’জনের বন্ধুত্ব। বাবার সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে বাড়ি ছাড়েন দিলীপ কুমার। পরিচয় গোপন করে ক্যান্টিন কন্ট্রাক্টরের কাজ করেন। পরে আর্মি ক্লাবে স্যান্ডউইচও বিক্রি করেন। এভাবেই ৫০০০ টাকা জমিয়ে মুম্বই চলে আসেন।
[আরও পড়ুন: টুইটারে অনিল কাপুর ও অনুরাগ কাশ্যপের কোন্দল কীসের? ফাঁস করলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা]
সিনেমার জগতে দিলীপ কুমারের প্রবেশ দেবিকা রানির বম্বে টকিজ প্রযোজনা সংস্থার কর্মী হিসেবে। মাসিক ১২৫০টাকার বিনিময়ে এই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সেখানেই অশোক কুমার ও শশধর মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পান। অভিনেতা দিলীপ কুমারের বলিউডে প্রবেশ ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার মাধ্যমে। তবে নায়ক হিসেবে তাঁকে পরিচিতি দেয় ১৯৪৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’। তারপর থেকেই বলিউডে শুরু হয় দিলীপ কুমারের ‘নয়া দওর’। ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘মধুমতী’ থেকে ‘ক্রান্তি’, ‘মশাল’, ‘কর্মা’, ‘সওদাগর’, ‘কিলা’ প্রায় পাঁচ দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন কিংবদন্তি অভিনেতা। তিনিই প্রথম ছবি পিছু ১ লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক নিতে শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: করোনাযুদ্ধে হার, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে প্রয়াত হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী]
মধুবালা, বৈজয়ন্তী মালা, কামিনী কৌশলের সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসার পর ১৯৬৬ সালে প্রায় ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। সেই থেকে দু’জনেই একে অপরের সঙ্গী। কারও প্রশংসা পেতে নয়, বরং দিলীপ কুমারের সেবা করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেন সায়রা বানু, এমনই জানিয়েছেন তিনি।