সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া বনাম ফেসবুক বিতণ্ডা এখনও মেটেনি। বরং ফেসবুকে খবর শেয়ার নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কের রেশ পৌঁছে গিয়েছে অন্য দেশগুলিতেও। খোদ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কথায়, ”সকলেই দেখছেন অস্ট্রেলিয়ায় কী হচ্ছে।” কার্যত জুকারবার্গকে (Mark Zuckerberg) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: আত্মনির্ভরতার পথে আরও একধাপ! চেন্নাইয়ে খুলছে আমাজনের প্রথম দেশীয় কারখানা]
গতকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বিতর্ক। ফেসবুকে (Facebook) কোনও রকম খবর দেখতে পাচ্ছিলেন না অস্ট্রেলীয়রা। কোনও খবরের লিঙ্কও শেয়ারও করতে দেওয়া হচ্ছিল না তাঁদের। আসলে অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবিত নয়া আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুকারবার্গের সংস্থা। আর এতেই চটেছে অস্ট্রেলীয় প্রশাসন। মরিসন রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুককে এই ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। সেই সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাবও দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আইনটি অস্ট্রেলিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয়ে গেলেও সোমবার সেনেটে এই নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা। তারপর সপ্তাহের শেষে তা পাশ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে তার আগেই প্রতিবাদের রাস্তায় ফেসবুক।
ঠিক কী বলা হয়েছে প্রস্তাবিত নয়া আইনে? গুগল, ফেসবুকের মতো সংস্থাগুলিকে খবরের লিঙ্ক শেয়ার করতে হলে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে অর্থ দিতে হবে। গুগল শর্তটি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে ফেসবুক। আর তাই বৃহস্পতিবার থেকে এই পদক্ষেপ করেছে তারা। অস্ট্রেলিয়া ও আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রকাশনা সংস্থা ও অস্ট্রেলীয় গ্রাহকরা আপাতত ফেসবুকে কোনও খবরের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারছেন না।
অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারার ফ্রাইডেনবার্গের সঙ্গে আজই এবিষয়ে কথা বলতে আলোচনায় বসেছেন মার্ক জুকেরবার্গ। এই অতর্কিত ‘শাটডাউন’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। তাঁর কথায়, ”আমরা ওঁদের সঙ্গে কথা বলেছি বিষয়টি নিয়ে। আমাদের সংশ্লিষ্ট দল এই নিয়ে কাজ করবে।” এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত বিতর্ক কোনদিকে গড়ায়।