সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে জানিয়ে দিল পাকিস্তানের (Pakistan) সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে সেদেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, শনিবার ফের অনাস্থা প্রস্তাবের মুখে পড়তে হবে ইমরান খানকে। সব মিলিয়ে রবিবার যে পালটা চাল দিয়েছিলেন ইমরান, তা ফের চাপের মুখে পড়ে গেল।
গত রবিবারই ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি শুরু হওয়ার আগেই সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ওইদিনই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। তার পরেই ইমরানের প্রস্তাব অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন আলভি। ফলে মনে করা হচ্ছিল, আপাতত সুবিধাজনক অবস্থানে রইলেন ইমরান। কিন্তু বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যায় ফের অস্বস্তিতে পড়তে হল পাক প্রধানমন্ত্রীকে।
[আরও পড়ুন: একসঙ্গে ঘুম নয়, চুমু-আলিঙ্গনও বাদ! করোনা রুখতে কড়া নির্দেশ জারি সাংহাইয়ে]
কী হবে শনিবার? ভোটাভুটির আগাম অঙ্ক অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে, আস্থা ভোট হলে ইমরানের বিদায় একরকম নিশ্চিত। যদি তাই হয়, তাহলে তিনিই হবেন সেদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারাবেন। এর আগেও দুই পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন।
গত কয়েক মাস ধরে ক্রমেই চাপ বাড়ছিল ইমরানের উপরে। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে তাঁকে মসনদচ্যুত করতে পদক্ষেপ করতে শুরু করে। কিন্তু রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীরা। এরপরই ডেপুটি স্পিকার জানিয়ে দেন, এই প্রস্তাব অসাংবিধানিক। তখন মনে করা হচ্ছিল, শেষ মুহূর্তে ম্যাচ বাঁচিয়ে নিলেন ১৯৯২ সালের বিশ্বজয়ী পাকিস্তান দলের ক্যাপ্টেন। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই ফের গত সপ্তাহের অবস্থানে ফিরে গেলেন ইমরান খান।