সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলে ঢুকতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলেন ব্রিটেনের দুই মহিলা সাংসদ। বিমানবন্দরে তাঁদের আটক করার পর পরের বিমানেই ফেরত পাঠানো হয়। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক ঘনিয়েছে। ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ''এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।''
জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্রিটিশ সাংসদের নাম ইউন ইয়ং এবং আবতিসাম মহম্মদ। তাঁরা লন্ডন থেকে ইজরায়েলে পৌঁছলেই আটকে দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। এরপর বিমানে ফেরত পাঠানো হয় তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন, ''এটা একেবারে অগ্রহণীয়, পরস্পরবিরোধী ও গভীর ভাবে উদ্বেগের বিষয়। দুই ব্রিটিশ সাংসদ ইজরায়েলে গেলে ওঁদের আটক করা হয়। ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি ইজরায়েল সরকারকে একথা জানিয়ে দিয়েছি। জানিয়েছি যে এভাবে ব্রিটিশ সাংসদদের সঙ্গে আচরণ করা যাবে না। দুই সাংসদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি।''
এরপর তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''রক্তপাত রুখতে এবং যুদ্ধবিরতির দিকে ব্রিটিশ সরকার নজর রেখে চলেছে। পণবন্দিদের মুক্ত করতে এবং গাজায় সংঘর্ষ রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর।''
প্রসঙ্গত, দু’মাসের যুদ্ধবিরতি শেষে ফের গাজায় আগুন ঝরাচ্ছে ইজরায়েল। হামাসের ডেরা খুঁজে খুঁজে আক্রমণ শানাচ্ছে আইডিএফ। এর মধ্যেই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থামাতে আসরে নেমেছে কাতার ও মিশর। উভয় দেশ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে ইজরায়েল আর সহজে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সাংসদদের ফেরত পাঠানোয় বিতর্ক নয়া মোড় নিল।