সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) B.1.617 স্ট্রেন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সেটিকে ‘ভারতীয় স্ট্রেন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। এজন্য ওঁর সাংসদ পদ খারিজ করা উচিত। এমনই দাবি জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
ঠিক কী অভিযোগ জানিয়েছেন নিশিকান্ত? তিনি তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না কী করে একজন সাংসদ এমন অবৈজ্ঞানিক ও ভারতীয়দের প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করতে পারেন। সরকার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে ওই শব্দবন্ধটা সরিয়ে দিতে। তবুও সম্মানীয় লোকসভার এক সদস্য দেশ ও তার নাগরিকদের লজ্জায় ফেলতে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করছেন। এটা অত্যন্ত অস্বস্তিকর।’’ তাঁর দাবি, শশী থারুরের মতো ‘অনিষ্টকারী’ কাউকে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদে রেখে দেখে দেওয়াটা গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তাঁর আরও অভিযোগ, শশী থারুর কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর অ্যাজেন্ডা নিয়ে বেশি ব্যস্ত।
[আরও পড়ুন: এক লক্ষ করোনা রোগীকে রামদেবের ‘করোনিল’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হরিয়ানা সরকারের! শুরু বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, এর আগেও নিশিকান্ত ও শশীর মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক বচসা লক্ষ করা গিয়েছে নানা ইস্যুতে। সে চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাই হোক কিংবা জম্মু ও কাশ্মীরে ফের ৪জি চালু করাই হোক। তবে এবারের সমস্যার মূল কেন্দ্রে রয়েছে টুলকিট বিতর্ক। যার উল্লেখ রয়েছে নিশিকান্তর চিঠিতেও।
কী এই কংগ্রেস (Congress) টুলকিট? বিজেপির অভিযোগ, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কাকে ব্যবহার করে মোদি সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এবং সেই কাজে তাঁরা ব্যবহার করছে বিতর্কিত টুলকিট। দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) টুইট করে দাবি করেন, এই সেই ‘টুলকিট’। যা গোপন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে অতিমারী নিয়ন্ত্রণে মোদি (Narendra Modi) সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস। তাঁর সেই টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ হিসেবে দেগে দেয় টুইটার। এর ফলে অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এদিকে কংগ্রেসও প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছে এমন কোনও টুলকিট তারা প্রকাশ করেনি। এই বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে নিশিকান্তর অভিযোগ, এই ইস্যুতে শশী থারুর টুইটারকে সাহায্য করছে সরকারবিরোধী পদক্ষেপ করতে।