স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (RG Kar Medical College) এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করল লেকটাউন থানার পুলিশ। ধৃত চিকিৎসকের নাম সৌম্যজিৎ গড়াই। তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ধর্ষণ ও ভয় দেখানোর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা এক যুবতী এসে লেকটাউন থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে কাকিমার চিকিৎসার সূত্রে আরজিকর হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। অভিযোগকারিণী নিজেও আরজিকর হাসপাতালের বিএসসি নার্সিংয়ের ছাত্রী। ওই সময় চিকিৎসকের সঙ্গে নম্বর আদানপ্রদান হয় যুবতীর। ধীরে ধীরে তৈরি হয় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
[আরও পড়ুন: কাজে লাগছে না খোলামেলা পোশাক, ভাগ্য বদলাতে এবার নাম পরিবর্তন উরফি জাভেদের!]
নার্সিংয়ের ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লেকটাউন থানার অন্তর্গত পাতিপুকুর এলাকার ভাড়াবাড়িতে যুবতীর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই চিকিৎসক। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবারই অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে লেকটাউন থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
একে তো যৌন হেনস্তা। তার উপর আবার প্রেমিকই প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছেন। তার ফলে বর্তমানে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন নার্সিংয়ের ছাত্রী। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা তরুণী। যদিও চিকিৎসক তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তরুণী মিথ্যা কথা বলছেন বলেই দাবি তার।