সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমে জোরাল হচ্ছে মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা। এবার পলাতক হীরে ব্যবসায়ীকে ‘ভারতীয় নাগরিক’ বলে মন্তব্য করলেন ডোমিনিকা প্রধানমন্ত্রী রুজভেল্ট স্কেরিট।
[আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি, দক্ষিণ আফ্রিকায় সাত বছরের জেল মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রীর]
জল্পনা উসকে মেহুল প্রসঙ্গে ক্যারিবিয়ান দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই ভারতীয় নাগরিকের বিষয়টি আপাতত বিচারাধীন। ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে কী হবে তা আদালত বিচার করবে। এবং আমরা বিষয়টি কোর্টের উপর ছেড়ে দিয়েছি। তাঁর (মেহুল চোকসি) অধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়েই বিষয়টি বিচার করবে আদালত।” তিনি আরও বলেন, “অ্যান্টিগায় কী হচ্ছে বা ভারতে কী হয়েছে, তা নিয়ে আমরা মোটেও উৎসাহী নই। আমরা একটি বৃহৎ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে। সেগুলি মেনেই আমরা কাজ করব।” বিশ্লেষকদের মতে, মেহুলকে ভারতীয় নাগরিক বলে মেনে নেওয়ার অর্থ হচ্ছে তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে। কারণ, চোকসিকে অ্যান্টিগার নাগরিক হিসেবে মানলে সে দেশেই মেহুলকে প্রত্যর্পণ করা হবে। তাই এক্ষেত্রে ডোমিনিকার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আশাব্যঞ্জক। তবে আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও আইনি জটিলতায় পলাতক হীরে ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণে সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ডোমিনিকার আদালতে মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণের মামলা চলছে। গত ২৩ মে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অ্যান্টিগা থেকে নিখোঁজ হন মেহুল চোকসি। এই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন মেহুলের আইনজীবী। এদিন, ডোমিনিকা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে তাতেই সিলমোহর দিলেন ৬২ বছরের এই ভারতীয় ব্যবসায়ী। মেহুলের অভিযোগ, তাঁর অপহরণের মূল চক্রী বারবরা জ্যাবরিকা। তাঁর অনুরোধে গত ২৩ মে স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া পাঁচটায় জ্যাবরিকার বাড়ি যান মেহুল। মদ্যপানের অছিলায় মেহুলকে খানিকক্ষণের জন্য বসতে বলা হয়। সেই সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আট থেকে ১০ জন ‘পেশীবহুল’ ব্যক্তি। প্রথমে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, ভারতীয় ব্যবসায়ীর উপর ‘হামলা’ চালান অ্যান্টিগা পুলিশের কয়েকজন। যদিও এদিন ডমিনিকা পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে সেই তথ্য নেই।