রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মৎস্যজীবীদের আন্দোলনের জের! শেষ মুহূর্তে জুনপুটে ফ্লাইট ট্রায়াল বাতিল করল ডিআরডিও (DRDO)। ট্রায়াল আপাতত বন্ধ থাকছে। তিনদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রেখেও ফ্লাইট ট্রায়াল না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি। তাঁদের বক্তব্য, ফ্লাইট ট্রায়াল হল না। অথচ প্রথম দফায় তিনদিন তাঁদের জীবিকার্জন ব্যাহত হল। একইসঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাজও।
সপ্তাহখানেক আগে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) নির্দেশ মাফিক মৎস্যদপ্তর জুনপুট তথা পূর্ব মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের উপকূলে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জানানো হয়, ফ্লাইট ট্রায়ালের জন্য নিরাপত্তার কারণে ১৭ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই এবং ২৪ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সর্বত্র মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে। এই মর্মে মৎস্যখটি, মৎস্যবন্দর, মৎস্য আহরণ কেন্দ্র এবং মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের লঞ্চিং প্যাড রয়েছে, তার চারদিকে ফেন্সিং-সহ আনুষঙ্গিক কাজ করার জন্য ডিআরডিওর লোকজন আসেন। যদিও কাজ শুরুর মুখে ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে বার্তা পেয়ে তাঁরা ফিরে যান।
[আরও পড়ুন: ডাম্পারে লরির ধাক্কা, চালকের মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার মালদহে, পুলিশের গায়ে ছাই ছিটিয়ে বিক্ষোভ]
জুনপুট কোস্টাল থানার ওসি প্রতিমা শ’ বায়েন বলেন, "আপাতত ফ্লাইট ট্রায়াল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে ডিআরডিও’র পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়। এও জানানো হয়, পরবর্তী সময়ে পুলিস-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সবকিছু ঠিক করা হবে।" কাঁথি মহকুমা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আমিন সোহেল বলেন,"এর আগেও এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। বার বার নিষেধাজ্ঞার জেরে মৎস্যজীবীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। জুনপুটে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গড়ার চেষ্টা এবং মৎস্যজীবীদের হয়রান করার প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।" ২৩ জুলাই এই ইস্যুতে এলাকায় সহস্রাধিক মৎস্যজীবীকে নিয়ে মশাল মিছিল বের করা হবে।