নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লি সংলগ্ন ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের (এনসিআর) দুর্গাপুজোয় অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠল কেদারনাথের মন্দির। গাজিয়াবাদের বৈশালীর রচনা পার্কে সর্বজনীন শ্রী শ্রী কালী পূজা সমিতির দুর্গাপুজো ১৮ বছরে পা দিয়ে শুধু সাবালকত্ব অর্জন করেনি, প্রতিবারেই অভিনবত্বে দিল্লি ও তার আশপাশের পুজোর তালিকায় উল্লেখযোগ্য জায়গাও করে নিয়েছে। দায়বদ্ধতাকে পাথেয় করেই এক পা, এক পা করে এগিয়েছে এই পুজো। সমাজের প্রতি, পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতাই এই পুজোর অন্যতম ইউএসপি। প্রতি বছরই পরিবেশ বান্ধব প্যান্ডেল, এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধুমাত্র কাঁচা বাঁশ ব্যবহার করেই উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরের মডেল তৈরি করা হয়েছে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসবের সঙ্গে দেশের অন্যান্য জায়গায় মানুষেরাও যুক্ত হোক, এই ভাবনা সামনে রেখে প্রতি বছরেই দেশের ভিন রাজ্যকে থিম হিসেবে তুলে ধরা হয় পুজোতে। আগে গুজরাত, রাজস্থানের পর এবারের থিম উত্তরাখন্ড। পুজোর চারদিনই উত্তরাখণ্ডের খাবার, সংস্কৃতি, উৎসব এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে পুজো মন্ডপে তুলে ধরা হবে। অন্যবারের মতো এবারেরও পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সামাজিক অসরকারি সংগঠনকে অর্থ সাহায্য করা হবে। উত্তরাখন্ডের বহু মানুষ সেনা বাহিনীতে রয়েছেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার বিশেষভাবে সক্ষম ভারতীয় সেনাদের জন্য কাজ করা একটি এনজিওকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থারই প্রধান ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লড়াই করা কিংবদন্তি সেনা কর্তা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইয়ান কার্ডোজো এবার পঞ্চমীর দিন পুজো উদ্বোধন করেছেন।
[আরও পড়ুন: রাজধানীতে নারীশক্তির জয়, মহিলা পরিচালিত পুজোর ভাবনা ‘মায়ের পুজো, মায়েদের দিয়ে’]
পুজো কমিটির সাংস্কৃতিক সচিব সোমনাথ দাসের কথায়, “প্রতি বছরের মতো এই বছরও ট্রিপল এস কেপিএস তার সামাজিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। যুদ্ধ প্রতিবন্ধীদের সংবর্ধিত করা হবে এবং তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা গাজিয়াবাদের গর্ব প্রিয়াংশকেও অভিনন্দন জানাব, যিনি সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত তিরন্দাজে অনূর্ধ্ব-২১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। বাচ্চাদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য দেব।” মন্ডপেই রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চক্ষু পরীক্ষা সঙ্গে বিনামূল্যে চশমা বিতরণেরও ব্যবস্থা। শুধুমাত্র পুজো নয়, সারা বছরই এই পুজো কমিটি এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোর ব্রত পালন করে আসছে।