দেব গোস্বামী, বোলপুর: শারদীয়ার বিশেষ অভিনব উপহার! আর যা ঘিরেই শোরগোল বিশ্বভারতী জুড়ে। উপাচার্য-সহ তাঁর ২৫ জন অনুগামীর বাড়িতে পৌঁছনো হয়েছে কুরিয়ারের মাধ্যমে। কেউ পেয়েছেন পঞ্চমীর দিন কেউ বা আবার একাদশীর দিন। প্যাকেট খুলতেই তাজ্জব সকলে! ছেঁড়া-ফাটা জুতো। তাতে লেখা পুজোর উপহার।
যদিও উপাচার্য ঘনিষ্ঠদের অধিকাংশই বলছেন, পুজোর আগে পড়ুয়া থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠদের দেশ-বিদেশ থেকে উপহার এসেই থাকে। তবে কটাক্ষের এক নয়া ধরন দেখল শান্তিনিকেতন। এ নিয়ে কেউ সমালোচনা করছেন, কেউ আবার ব্যঙ্গ করছেন। রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীর জুড়ে।
[আরও পড়ুন: বিজয়া দশমীর পর ফের বোধন! একাদশীতে একদিনের দুর্গাপুজোয় মাতে বাংলার এই গ্রাম]
এই অবশ্য প্রথম নয়! এর আগেও জুতোর মালা থেকে শুরু করে ঢোল বাজিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। উপাচার্যর পাঁচ বছরের ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’র অভিযোগ জানাতেই অভিনব পদ্ধতিতে শারদীয়ার বিশেষ উপহার পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কারা কুরিয়ার পাঠিয়েছেন স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, “বাছাই করে উপাচার্য-সহ ২৫ জন ছায়াসঙ্গীর বাড়িতে মূলত বিদ্রুপ প্রতিবাদ জানাতেই একপাটি ছেঁড়া জুতো শারদীয়ার উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে।”
উপাচার্যর সময়কালে ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’র প্রতিবাদ জানাতেই অভিনব পদ্ধতিতে শারদীয়ার বিশেষ অভিনব উপহার পাঠানো হয়েছে বলেই মনে করছেন সকলে। জানা যায়, উপহার পেয়ে উপাচার্যর ঘনিষ্ঠমহলের একাংশ নানুর কীর্ণাহারের কুরিয়ার সার্ভিসের মালিককে হুমকি দিয়েছে। যদিও কুরিয়ারের মালিক এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি। অন্যদিকে উপাচার্যর ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এপ্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।