সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গাছগাছালিতে ভরা কাঁকসার শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শালিক। এক পড়ুয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বও গড়ে তুলেছে সে। দু’জনেই দু’জনের ভাষা বোঝে না। তাতেও ভালবাসায় কোন ছেদ নেই।
ভালবেসে সকলে শালিকটির নাম রেখেছে ‘মিঠু’। নিয়ম করে প্রতিদিন খুদে পড়ুয়া অঙ্কিতা বাগদির কাছে আসে। সে স্কুলে পৌঁছনোর পরই গাছ থেকে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ে মিঠু। অঙ্কিতার সঙ্গে টিফিন পিরিয়ড পর্যন্ত থাকে। ক্লাস চলার সময় মিঠু বসে থাকে বেঞ্চে।
আবার টিফিন পিরিয়ডে মিঠু অঙ্কিতার মাথায় চড়ে ঘুরে বেড়ায়। খেলাও করে। স্কুলপড়ুয়াদের মতো শিক্ষকরাও মিঠুকে বেশ ভালবাসেন। কখনও বিস্কুট, কখনও মুড়ি খেতে দেওয়া হয় তাকে। পাখিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরে অঙ্কিতা।
[আরও পড়ুন: ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান, জনসংযোগে এবার তৃণমূলের হাতিয়ার ‘হ্যান্ডবুক’]
অঙ্কিতা স্কুলে আসতে না পারলে মিঠু মনমরা হয়ে যায়। অঙ্কিতারও একই অবস্থা। আবার স্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও মিঠুকে ছাড়া কিছুই চান না, দাবি শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ রামদাস সোরেনের। সবমিলিয়ে মিঠুই যেন সকলের নয়নমণি।
অঙ্কিতার ইচ্ছা স্কুলের গাছে নয়। ওর সঙ্গেই সারাক্ষণ থাকুক মিঠু। দিকে দিকে নির্মমতার মাঝে মিঠু-অঙ্কিতার নিখাদ ভালবাসা সত্যিই নজিরবিহীন।
দেখুন ভিডিও: